হাসান মাহমুদ ॥
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গাছা লাগানোকে কেন্দ্র করে বড় ভাই বিল্লাল হোসেনের আঘাতে ছোট ভাই প্রবাসী জহির হোসেনের (৪৭) মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ওই বাড়ির মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর আমিনুল হক মেম্বার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী জান্নাত বেগম জানান, ভাসুর বিল্লাল হোসেনের সাথে তাদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে তার স্বামী জহির হোসেন গাছের চারা রোপন করতে গেলে ভাসুর বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী বাধা দেন। এক পর্যায়ের তাদের মাঝে ঝগড়াঝাটি হয়। এসময় একজন আরেকজনকে দৌঁড়ে আসেন। এরমধ্যে তিনি নিজঘরে ফিরে আসেন। পরে আবারো তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার স্বামীর হাতে রক্ত।
পরে তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর জহির হোসেনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভীড় করেন। খবর পেয়ে এদিন সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক ওই বাড়িতে যান।
এ বিষয়ে মারা যাওয়া জহির হোসেনের ভাতিজা মামুন বলেন, গাছ লাগানো নিয়ে দুইজনের (বিল্লাল ও জহির) মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। একজন-আরেকজনকে গালমন্দ করে দৌড়ে গিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে মারামারি হয়নি। এরপর কাকা নিজ ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি কাকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তখন ডাক্তার তাকে মৃত বলেন। তিনি আরও বলেন, জহির কাকার হাতে রক্ত দেখেছি। তবে কিভাবে হাত কেটেছে, তা আমি জানিনা।
খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা ওই বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন ও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। এসময় উপস্থিত লোকজন জানান, ওই সময়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে চাঁদপুর নিয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ বলেন, জহির হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিল্লাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়েছেন। এদিকে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের কাউকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালামত উল্যাহ্ জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। লোকমুখে ও বিভিন্ন গুঞ্জন শুনতে পেয়ে মূল ঘটনা জানার জন্য আমি ওই বাড়িতে এসেছি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, খবর পেয়ে আমি নিহতের বাড়িতে এসেছি। পরিবারের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।