
হাসান মাহমুদ, হাজীগঞ্জ ॥
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪টি দোকানঘর পুড়ে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ স্টেশন রোডে পৌর মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে মার্কেটের সবকটি দোকানঘর সহ পাশের একাধিক দোকান পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে টাইলস এন্ড স্যানেটারি এবং একটি কনফেকশনারী দোকানঘরসহ অপর সবগুলো দলিল লিখক, কম্পিউটার কম্পোজ ও প্রিন্ট, দোকান রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২০ জন দলিল লিখকের প্রায় ১০ হাজার দলিল ও স্ট্যাম্প পুড়ে যায় বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
জানা গেছে, এদিন রাতে পৌর মার্কেটে আগুন দেখতে পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন এবং ডাক-চিৎকার করে স্থানীয়দের খবর দেন প্রত্যক্ষদর্শী মাইনুদ্দিন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের সহযোগিতায় প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
এর মধ্যে আগুনে ১৪টি দোকানঘর ও দোকানে থাকা মালামালসহ সবকিছু পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে অধিকাংশ দলিল লেখকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। যেখানে অন্তত ২০ জন দলিল লেখকের প্রায় ১০ হাজার দলিলসহ কয়েক লাখ টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প, অর্ধ শতাধিক কম্পিউটার ও প্রিন্টার মেশিন পুড়েছে।
এছাড়াও একটি টাইলস ও স্যানেটারি দোকান এবং কনফেকশনারি দোকান পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিটে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা নাশকতা বলে দাবি করেন। কারণ, হিসেবে তারা জানান, মার্কেটটি পৌরসভার হলেও ভূমির মালিক জেলা পরিষদ। এ নিয়ে জেলা পরিষদের সাথে ব্যবসায়ীদের ঝামেলা যাচ্ছে।
এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন তরুণ ও যুবক আহত হয়েছেন। এসময় সেনাবাহিনীর হাজীগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেন। তাৎখনিক আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোন বক্তব্য দেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, আগুনের খবর পেয়ে তাৎখনিক ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রনে এসেছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেছে।