হেলিকপ্টার নিয়ে কর্মচারীর বাড়িতে হাজির সৌদি মালিক

 

সাহাদাত হোসেন :

সৌদি আরবের এক নাগরিককে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় নিজ গ্রামের বাড়ি মোহনপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এসেছেন মো. মোবারক হোসেন নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলী আহাম্মদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারে এসে নামেন তাঁরা। সৌদি আরবের ওই নাগরিকের নাম মির্জা আবু ফয়সাল। মোবারক হোসেন মোহনপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মৃত আ. সাত্তারের ছেলে। তিনি ৫ বছর আগে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে গিয়েছিল।

স্থানীয় লোকজন বলেন, মোবারক হোসেন কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের বাসিন্দা মির্জা আবু ফয়সাল এর মালিকানাধীন একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে মালিকের (কফিল) সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় মেবারকের। আজ রাত ৩:৪৫ মিনিটের দিকে দাম্মাম থেকে ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তাঁরা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ঢাকা থেকে মতলব উত্তরের আসেন।

এদিকে প্রবাসী মোবারককের সঙ্গে তাঁর সৌদি মালিকের গ্রামে আসার খবরে আজ সকাল থেকেই উৎসুক জনতা আলী আহাম্মদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ভিড় করেন। সৌদি থেকে আসা নাগরিককে বরণ করে নিতে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টার আলী আহাম্মদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে হইহুল্লোড় লেগে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন সৌদিপ্রবাসী মোবারক হোসেন ও তাঁর কর্মস্থলের মালিক মির্জা আবু ফয়সালকে। পরে সেখান থেকে বাহেরচরের নিজ বাড়িতে মির্জা আবু ফয়সালকে নিয়ে যান মোবারক হোসেন। এ সময় মতলব উত্তর থানা পুলিশের ফোর্স, বোরচর, চরকাশিম এবং বাহেরচর গ্রামের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাসী মোবারক হোসেন বলেন, আমার কফিল (মালিক) একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। তিনি বাংলাদেশ খুব পছন্দ করেন। কাজ করার সময় প্রায়ই বলতেন, আমি তোমার দেশে যাব। তাই তাঁকে আনার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা আগে থেকে চিন্তা করি তাঁকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে যাব। সে জন্য ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে চলে আসি। তিনি ১ সপ্তাহ বাংলাদেশে থাকবেন। পরে একসঙ্গে আবার সৌদিতে চলে যাব।

সৌদি নাগরিক মির্জা আবু ফয়সাল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ আমার খুব ভালো লাগার একটি দেশ। আমি এর আগে শুনেছি বাংলাদেশের মানুষ খুব আন্তরিক। তাই লালনের সঙ্গে তাঁর গ্রামে এসেছি। এখানে মানুষের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। এখানকার গ্রামীণ পরিবেশ আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।

Loading

শেয়ার করুন: