স্টাফ রিপোর্টার ॥
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে এ সভার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ।
তিনি বলেন, আজকের আলোচনা সভার কারণ হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানানো। সঠিক ইতিহাস জানতে আমাদের খুব কষ্ট হয়েছিলো। ২৫ মার্চের ঘটনার ইতিহাসও জানতে আমাদের প্রায় অনেক বছর লেগেছে। ২৫ মার্চের ইতিহাস জানতে হলে তার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হবে। ২০১৮ সালের গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। তবে এখনও আমরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি। আশা করি অল্পসময়ের মধ্যে আমরা সেই স্বীকৃতি পেয়ে যাবো।
পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বলেন, মার্চ মাসের প্রতিদিনের ঘটনা বলতে গেলে অনেক সময় লাগবে। কারণ মার্চের প্রতিটি দিনই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালিকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্যেই ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল পাকবাহিনী। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের শুধু মাটি থাকবে কোনো মানুষ থাকবে না। ঢাকার কিছুকিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে লক্ষ্য করে তারা তাদের টার্গেট সাজিয়ে ছিলো। ৩৭টি গাড়ি নিয়ে প্রথম বহর বেরিয়ে ছিল ঢাকার ওপর আক্রমণ করার জন্যে। পরে আরো গাড়ির জড়ো হয়ে আক্রমণ করেন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ও দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুরের সম্পাদক এম. আর. ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, পুরান বাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, এনএসআই উপ-পরিচালক শাহ আরমান আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের এডি এমদাদুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিসার তরিকুল ইসলাম, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। সভার শেষে শহীদের উদ্দেশ্যে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোশারফ হোসেন।
