নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতির করে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় দুই সদস্যকে আটক ডিবি পুলিশ । মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন : চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নাহারা গ্রামের বড় ভুঁইয়া বাড়ীর মো. আবুল হাশেমের ছেলে মো. ইয়াছিন হোসেন (২১) এবং হাজীগঞ্জ উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের বড় বাড়ীর জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ওমর ফারুক (২৬) ।
চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও ওয়ান) মনিরুল ইসলাম এবং ডিবির ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুর পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে চাকুরী প্রার্থী মো. ইয়াছিন হোসেন উপস্থিত হয়। তিনি ৫ ফেব্রুয়ারি শারীরিক বাচাই পর্বে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে ৬ ফেব্রুয়ারি শারীরিকসহ অন্যান্য পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় আজ সকালে পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর প্রতারণার মাধ্যমে জাল জালিয়াতি করে প্রবেশপত্র নিয়ে পুলিশ লাইন্সে প্রবেশ করেন। পুলিশ সুপারের মুল স্বাক্ষর ও সীলের সাথে গড়মিল পরিলক্ষিত হওয়ায় তাকে আটক করা হয়।
মনিরুল ইসলাম বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়-হাজীগঞ্জ বাজার কাদির কম্পিউটার দোকান হতে একটি কৃতকার্য লেখা সীল তৈরি করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে সেখান থেকে ওমর ফারুককে আটক করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, আমাদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রতিদিনের কার্যক্রম শেষে যোগ্য-অযোগ্যর বাছাই -বাছায়ের জন্য ডকুমেন্ট হিসেবে পরীক্ষায় উর্ত্তীনদের ফর্ম দেয়া হয়ে থাকে। ইয়াছিন হোসেন গতকালের পরীক্ষায় অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পরে আজকের পুলিশ সুপার (এসপি) স্যারের স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করে ফর্ম তৈরী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। সীলের কালির কালার ও স্বাক্ষর দেখে বুঝে গেলাম এটা স্বাক্ষর না। তাইএসপি স্যারকে অবহিত করি। স্যার জানান এই স্বাক্ষর স্যারের না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে স্বাক্ষর ও সীল জালিয়াতি করে। এঘটনার তার বাড়ীতে অভিযান করা হয়। এসময় কলম , প্যাট,সিল উদ্ধার করা হয়। এঘটনার জড়িত আরো একজনকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ লাভের জন্য স্ট্যাম্পে ৮ লাখ টাকা চুক্তি মূলে নগদ ৩ লাখ টাকা দিয়ে এক কোন দালালের সঙ্গে অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করেন। ওই দালালের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
