চাঁদপুরে অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা মোতালেব-কামালের বিরুদ্ধে মামলা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

চাঁদপুরে অনলাইন ক্যাসিনো গ্লোরি পরিচালনায় অভিযুক্ত আব্দুল মোতালেব গাজী ও তার ছোট বোন জামাতা মো. কামাল মিজি বাবুর বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধ ছাত্র আন্দোলনে অর্থ যোগান দাতা হিসেবে ঢাকার একটি হত্যা মামলায় এজহার নামীয় আসামী করা হয়েছে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলায় এই দুই ব্যাক্তিসহ ৪৬জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয় আরও ২০০ থেকে ২৫০জনকে। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করা হয়। মামলার বাদী রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকার মো. জয়নাল মুন্সির ছেলে মো. ছাইফুল ইসলাম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মামলার বিষয় ঢাকা জজ কোটের আইনজীবী মোহাম্মদ আতিকুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে এসব তথ্যের নিশ্চিত করা হয়।

গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা ধানাধীন ব্রাক বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের গুলিতে গুরুতর আহত হন বাদীর শ্যালক নিশান খান (৩৭)। পরে নিশানকে প্রথমে বাড্ডা জেনারেল হাসপাতালে নিয়েগেলে চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানায় হাপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েগেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থ যোগান দাতা আসামী মোতালেব চাঁদপুর সদর উপজেলার রালদিয়া গ্রাম ও কামাল হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও তাদের বেশিরভাগ সময় অবস্থান ঢাকায়। মোতালেব অনলাইন ক্যাসিনোসহ দুবাইতে টাকা হোন্ডির ব্যবসায় জড়িত এবং তার বোন জামাতা চাঁদপুরে স্থানীয়ভাবে অনলাইন ক্যাসিনোর দালাল।

মোতালেব পরিবার অনলাইন ক্যাসিনোতে সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকার বহু যুবক অভিযোগ করেছেন। এই জুয়ার ব্যবসার টাকা তারা গত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগান দিয়েছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।

মামলার আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলাটি আদালতে দাখিল করার পরে থানায় তদন্ত করার জন্য দিয়েছেন। বাদীর অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা যাচাই সাপেক্ষ আদালতকে অবহিত করবেন। এরপর আদালত পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এই মামলায় অভিযুক্ত আসামী মোতালেব ও তার বাবা শওকত গাজী এবং তার বোন জামাতা কামাল মিজির অনলাইন ক্যাসিনোর ফাঁদের বিষয়ে ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে অনলাইন জুয়ায় সবকিছু হারিয়ে হতাশ যুবকরা কোন ধরণের আইনী ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তারা শুধুমাত্র চাঁদপুরেই তাদের অনলাইন ক্যাসিনোর ফাঁদে আটকেছেন দেড় শতাধিক ব্যাক্তিকে। ওইসব ব্যাক্তিদের নিয়ে হুয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছিলো।

Loading

শেয়ার করুন: