চাঁদপুরে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে চাঁদপুরে ২ দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

তিনি বক্তব্যে বলেন, মেলার উদ্দেশ্য ছিলো আমাদের সরকারি সকল দপ্তরের বেশিরভাগ সেবাই হচ্ছে অনলাইনে, সেই সেবাগুলো জনসাধারণের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এছাড়াও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিবেশন করানো এবং বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন উদ্ভাবনী আবিস্কার পরিবেশন করানো হয়েছে। একসময় মোবাইলের চাহিদা ছিলো দুষ্কর। আর বর্তমানে অনেক দামী ব্র্যান্ডের মোবাইল বাংলাদেশে তৈরী হচ্ছে।

তিনি বলেন, সাধারণ পড়াশুনা করে টেকনোলজির জ্ঞান না থাকলে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। সামনে আমাদের আরো সুযোগ রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতি হবে। আর তার জন্যে বিজ্ঞান ও অংক এবং কারিগরী জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই। সবচেয়ে মেধাবি শিক্ষার্থীরা বুয়েটে পড়াশুনা করবে, এ চিন্তাকে দূর করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কারিগরি ও টেকনোলজি শিক্ষা নেওয়া দরকার রয়েছে। আমার বিশ্বাস এ দুই দিনব্যাপী মেলা থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও লাভবান হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ ,ইন্সটিটিউট মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. সাকাওয়াৎ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাস ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন রশিদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ, চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. মেশকাতুল ইসলাম, এআরএম জাহিদ হাসান, রেশমা খাতুনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষাথীবৃন্দ।

মেলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ, ডিজিটাল সেবা, হাতের মুঠোয় সেবা, শিক্ষা দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের উপর ৪টি প্যাভিলিয়নে ক্যাটাগরী ভিত্তিক ৭০টি স্টলে অংশগ্রহণকারিরা বিভিন্ন ক্যাটাগরী থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়াও অংশগ্রহনকারী সকল প্রতিষ্ঠানকেই সনদপত্র প্রদান করা হয়।

Loading

শেয়ার করুন: