নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভয়ংকর বিষধর ‘রাসেল ভাইপার এক ছোবলেই মৃত্যু নিশ্চিত। কারণ রাসেল ভাইপারে কামড়েছে অথচ বেঁচে গেছেন এমন উদাহরণ নেই বললেই চলে। আবার কেউ ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও এই সাপের বিষ ‘হেমোটক্সিন’ হওয়ায় মাংস পঁচেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয় ।
চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার পশ্চিম শ্রীরামদী রওনাগোয়াল এলাকার খায়ের মিজির বাড়ির পিছনে মেঘনা নদীর পাড়ে কচুরিপানার ওপর থেকে ধরা হয়েছে প্রায় ৩ ফুট লম্বা ভয়ংকর বিষধর ও বিরল প্রজাতির রাসেল ভাইপার সাপ, বাংলায় যাকে বলা হয় চন্দ্রাবোড়া।
নদীতে গোসল করতে গিয়ে স্থানীয় কিশোররা সাপটি দেখতে পেয়ে হাত দিয়ে ধরে ফেলে বস্তায় ঢুকিয়ে পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ শহিদ হোসেনকে খবর দেন।
পরে পুলিশ সাপটি উদ্ধার করে ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সাপটিকে চাঁদপুরের বন বিভাগের কর্মকর্তা কামরুল হাসানের হাতে তুলে দেন।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট দুপুরে চাঁদপুরে শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় মেঘনা নদীর পাশে একটি পুকুর থেকে সবুজ নামের এক যুবক ও শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার গাজী বাড়ির শামীম গাজী ওরফে সামু নামের যুবক বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বড়স্টেশন মেঘনা নদীর তীরে কচুরিপানার ওপর থেকে সাপটি ধরে। পরে দুটি সাপ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিনিধিদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
চন্দ্রবোড়া সাপটি অনেক বিষধর। এটি ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার কয়েকটিদেশে আছে। বাংলাদেশের উত্তরঞ্চলের কিছু জেলায় এবং দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় রাসেল ভাইপার সাপটির অস্তিত্বমিললেও চাঁদপুরে এটি ৩য়।
অনেকে ধারণা করছে বন্যার পানির সাথে ভেসে সাপগুলো এখানে এসে থাকতে পারে। হয়তো এটি কোন কারণে ফিরে যায় নেই।
