চাঁদপুর-ঢাকা- নৌ পথে চালু হলো চারতলা বিশিষ্ট ময়ূর-১০ লঞ্চ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

শরিয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরি ঘাট -চাঁদপুর-ঢাকা- নৌপথে চলাচলকারী অত্যাধুনিক নৌ-যান সিএস কর্পোরেশনের চারতলা বিশিষ্ট ময়ূর-১০ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ চালু হয়েছে। ঢাকায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে প্রায় ছয় শাতাধিক যাত্রী নিয়ে বৃহস্পাতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩ টায় চাঁদপুর লঞ্চ টামিনালে আসে । পরে চাঁদপুরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে শরিয়তপুরের ঈদ গাঁ ফেরি ঘাট উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আবার একই দিনে শরিয়তপুরের ঈদ গাঁ ফেরি ঘাট থেকে এসে চাঁদপুর রাত সাড়ে ১১টায় প্রথমবারের মতো ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত লঞ্চ চারতলা বিশিষ্ট এমভি ময়ূর-১০ এখন থেকে নিয়মিত চলাচল করবে। শরিয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরিঘাট থেকে চাঁদপুর থেকে ঢাকা ও ঢাকা থেকে চাঁদপুর থেকে শরিয়তপুর ঈদ গাঁ ফেরি ঘাটে দ্রুত গতিতে পৌঁছাবে। এতে যাত্রীসেবায় এক ধাপ এগিয়েছে বলে মনে করছেন লঞ্চমালিক প্রতিনিধিরা।

এমভি ময়ূর-১০ লঞ্চের মালিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এটি চারতলা বিশিষ্ট লঞ্চ। এর ভেতরে ১৮টা ডাবল কেবিন, ৪২টা সিঙ্গেল কেবিন, ৪টা ভিআইপি ও ৪টা ফ্যামিলি কেবিন এবং ৪টা সেমি ভিআইপি কেবিন রয়েছে। দুর্ঘটনা রোধে লঞ্চটিতে ১ হাজার ৫০ হস পাওয়ারের দুটো চায়না ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। এতে হাইড্রোলিক গিয়ার, ফায়ার বকেট, উন্নত প্রযুক্তির রাডার ও জিপিএস রয়েছে। এছাড়া ডুবোচর ও পানির পরিমাণ নির্ধারণ করে বসানো হয়েছে ইকো সাউন্ডার। লঞ্চটি দ্রুতগতিতে চলাচলের ক্ষমতা রয়েছে। চাঁদপুর থেকে প্রতিদিন ছেড়ে যাবে রাত সাড়ে ১১টায় এবং ঢাকা থেকে দিনের সাড়ে ১২টায় চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি ও সুপারভাইজার আবু সাঈদ জানান, আজ আমরা লঞ্চটি উদ্ভোধন করেছি। যাত্রী সেবায় নিয়োজিত হতে পেরে আল্লাহ কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। লঞ্চটি প্রয়োজনীয় উপকরণ যতটুক প্রয়োজন আমরা তা সম্পন্ন করেছি। শতভাগ যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে পারব। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য পুরো লঞ্চটিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি নির্ধারিত ভাড়া অনুসারে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

লঞ্চটি গত বছরের নভেম্বর মাসে এ রুটে যুক্ত হবার কথা ছিল।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই নৌ-যানটি পরিচালনা জন্য চেষ্টা করি। বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে লঞ্চ চালু করতে পারি নি। এই প্রতিকূলতা অতিক্রম করে চাঁদপুরের যাত্রী সেবায় যাত্রীদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কাজটি অবশেষে করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা যেন যাত্রীদের সেবা সুন্দর ভাবে দিতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

ঢাকা থেকে আসা যাত্রী জসিম,রফিকুল ইসলাম,রহমান জানান, লঞ্চটি ভ্রমণ আরামদায়ক,সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত লঞ্চ, ভেতরের মনোরম পরিবেশ । নিদিষ্ট সময় লঞ্চটি ছেড়েছে এবং নিদিষ্ট সময় এসেছে। ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসতে ৩ ঘন্টা সময় লাগেছে। লঞ্চটি মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা পরিবেশ।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শক মো: শাহ আলম জানান, আজ শরিয়তপুরের ঈদগাঁ ফেরি ঘাট -চাঁদপুর-ঢাকা- রুটে নৌপথে এমভি ময়ূর-১০ লঞ্চটি যুক্ত হচ্ছে। এটি একটি বিলাশবহুল লঞ্চ। আশা করি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও যাত্রীদের সেবার মান বজায় রেখে এটি চলাচল করবে।

Loading

শেয়ার করুন: