ছেলে ধরা গুজবে গণপিটুনী মতলবে আসামী দেড় হাজার

গোলাম সারওয়ার সেলিম :

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে ছেলে ধরা গুজব ছড়ানো এবং গণপিটুনী দেয়ার ১৫ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। আমির হোসেন (৩৮) নামের এক মধু বিক্রেতাকে ছেলে ধরা সন্দেহে গনপিটুনী দেয়ায় অজ্ঞাত ১৫ শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ১২ জুলাই রাতে মতলব দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের করেন মধু বিক্রেতার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন।

এ ঘটনায় পুলিশ মোহন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ঘটনা সূত্রমতে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার খিদিরপুর গ্রামে আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তি মধু বিক্রি করছিলেন। এ সময়ে কিছু ছোট ছোট ছেলে মেয়ে সেখানে মধু খাওয়ার জন্য জড়ো হয়। ওই গ্রামের ইউপি সদস্য মোবারক হোসেনের নাতিন মার্জিয়াকে মধু খাওয়ান আমির হোসেন।

এ সময় মধু খাইয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে গুজব উঠে। মধুবিক্রেতাকে ছেলেধরা হিসেবে সন্দেহ করেন স্থানীয় লোকজন। তাঁকে পাকড়াও করার জন্য ঐ গ্রামে মাংকিং করা হয়। মহূর্তের মধ্যে চারিদিকের ৫/৭ হাজার মানুষ জড়ো হয় এবং মধু বিক্রেতাকে গনপিটুনি দেয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মধু বিক্রেতাকে তাঁর হেফাজতে রেখে থানায় খবর দেন। তবে বিষয়টি গুজব।

মধু বিক্রেতা আমির হোসেনের ভাই মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় খিদিরপুর ও বাড়ৈগাঁও এলাকার মোবারক হোসেন, আমির হামজা, খোরশেদ তালুকদার, মোহন প্রধান, হুমায়ুন মৃধাও মানিক মৃধাসহ অজ্ঞাতনামা আরও দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দেয়া হয়েছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ওসি এ.কে.এম.এস ইকবাল বলেন, ছেলেধরা গুজব এলাকার ছড়িয়ে পড়ায় এসব ঘটনা ঘটছে। যথাসময়ে পুলিশ আসায় মধু বিক্রেতাকে প্রাণে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরন করা হয়।

Loading

শেয়ার করুন: