পুলিশ পরিচয়ে কিশোরের হাত-পা বেঁধে ডাকাতি

কেএম নজরুল ইসলাম :

ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বসতঘরে প্রবেশ করে কিশোরের হাত-পা বেঁধে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হামছাপুর গ্রামে বুধবার (৮ মে) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গৃহকর্ত্রী মুক্তা বেগম হামছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। স্বামী জাহাঙ্গীর রামগঞ্জ উপজেলাধীন চৌধুরী বাজারে একটি ব্যাংকে চাকুরির সুবাদে সেখানেই ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন সকালে তিনি তার কিশোর ছেলে মেজবাহ আলম (১৪)-কে বাড়িতে রেখে বিদ্যালয়ে চলে যান। দুপুরে বাড়িতে এসে দেখেন বসতঘরের সকল আসবাবপত্র এলোমেলো অসবস্থায় পড়ে আছে। এসময় ঘরের আলমারির কাছ থেকে তার ছেলের হাত-পা বাঁধা ও মুখে গামছা দেওয়া অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার শিকার ওই শিক্ষকের ছেলে মেজবাহ আলম জানান, সকালে ডাকাতরা ঘরের সামনে এসে বলে কে আছেন ঘরে? আমি ভিতর থেকে বলছি, কে? পরে তারা বলছে পুলিশ। আমি দরজা খুলে দিলে তারা বলে আমাদের বাবার ড্রয়ারে নাকি ফাইল আছে। এসময় আমি আমার মাকে ডেকে আনার কথা বললে সাথে সাথে তারা ঘরে ঢুকে আমার হাতে-পায়ে ও মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে এক রুমে ফেলে রাখে। তাদের গায়ে পুলিশের পোশাক ও কোমরে পিস্তল ছিল।

মুক্তা বেগম বলেন, আমি বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে এসে দেখি আমার ছেলের হাত-পা বাঁধা ও মুখে গামছা দেওয়া অবস্থায় পড়ে আছে। ডাকাতরা আমার ঘরে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েকমাস পূর্বে আমার বাসায় একবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এখন আবার এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ এসে পরিদর্শন করে গেছে। আমরা চাই ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রকৃত পুলিশ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. বুলবুল আহমেদ বলেন, যে পরিচয়ে অপরাধ সংগঠিত হয় এটি একবারেই দুঃখজনক। আশা করি তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে পুলিশ।

গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ) সার্কেল পংকজ কুমার দে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Loading

শেয়ার করুন: