ফুটপাতে খাবারে বিক্রেতাদের চাঁদপুরে ভোক্তা অধিকারের হুশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিদ্যালয়ের সামনে শিশুদের কাছে খোলা খাবার বিক্রি। যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এমন খাবার কোমলমতি শিশুরা খেয়ে প্রতিনিয়ত ফুড পয়েজনিং এর স্বীকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসন।

মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় তিনি জানান,চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ বাজারে অভিযান পরিচালনাকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠ,ফুটপাতে খোলা খাবারে বিক্রেতাদের হুশিয়ারি করেন ।পাশাপাশি শিশুদেরকে এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত করেন ।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসন জানান, বিদ্যালয়ের সামনে শিশুদের কাছে খোলা খাবার বিক্রি। যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এমন খাবার কোমলমতি শিশুরা খেয়ে প্রতিনিয়ত ফুড পয়েজনিং এর স্বীকার হচ্ছে। তাই ফুটপাতে ,স্কুল ,কলেজের সামনে কোন ধরনের অস্বাস্থ্য কর খাবার বিক্রিয় করা যাবে না। বাহিরে বিক্রয় করলে গøাসসহ প্রয়োজনীয় সিষ্টেমে খাবার বিক্রয় করতে হবে।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন বাহিরের খাবার ভাল না, খোলা খাবারে ধুলাবালি ও ময়লা পড়ে, মাছি বসে। তাই তোমরা এই ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকবা ।

পরে তিনি মূল্য তালিকা না থাকা, ওজনে কারচুপি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণার দায়ে দুই ক্ষীরের প্রতিষ্ঠানকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। একই সঙ্গে আরও দুই প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন কারণে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সহকারী পরিচালক নুর হোসেন জানান, মূল্য তালিকা না থাকায় চাঁদপুরের মতলবের ক্ষীরের প্রতিষ্ঠান নন্দ কেবিকে ৮হাজার টাকা ,ওজনে কারচুপি করায় মতলব দধি ক্ষীর নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এমআরপি ও মেয়াদের তারিখ না থাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রক্রিয়াকরণের দায়ে সততা বেকারিকে ৩০ হাজার টাকা এবং নকল কসমেটিকস বিক্রির দায়ে রূপা স্টোরকে ১০ টাকা জরিমানা হয়। আজ আমরা মতলব বাজারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৩ হাজার জরিমানা আদায় করি । আমাদের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে সকল পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রিসহ ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

Loading

শেয়ার করুন: