সাজানো মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী’সহ আটক ২

মতলব উত্তর ব্যুরো :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার অলিপুর নয়াকান্দি গ্রামে পূর্ব শত্রুতায় সাজানো ঘটনায় মামলা করে একটি পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

সাজানো মামলায় গজরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী জিসান মৃধা ওরফে জনি ও তার ভাই দুবাই প্রবাসী জসিম মৃধাকে আটক করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে মতলব উত্তর থানা পুলিশ জিসান মৃধা ও জসিম মৃধাকে আটক করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করে।

মৃত. ইসমাইল সরকারের স্ত্রী মোসা. আয়েশা সিদ্দিকা বাদী হয়ে ১ জুলাই ২০১৯ইং জিসান মৃধাকে প্রধান আসামী করে ১০জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৭জনকে আসামী করে একটি মামলা করে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, ২৭ জুন দুপুর ২টায় যে ঘটনা দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে, ওই সময় ও তারিখে এ ধরণের কোন ঘটনা সংঘটিত হয়নি। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং মোফাজ্জল হোসেন নিহতের ঘটনায় আয়েশা সিদ্দিকার ছেলে আমিনুর সরকার আসামী হয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে ছিল।

এ পর্যন্ত আমিনুর সরকার ও তার মা আয়েশা সিদ্দিকা কেউ গ্রামে আসেনি। আমিনুর সরকারের বাড়ি পরিত্যক্ত ও ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। ঘরের দরজা-জানালা মাকরসা বাসা বেঁধে রেখেছে।
মোফাজ্জল হোসেন নিহতের ঘটনায় যে মামলা হয় ওই মামলায় আটককৃত জিসান ও জসিমের মা খালেদা বেগমকে ১নং স্বাক্ষী করা হয়।

অলিপুর নয়াকান্দি গ্রামের আছিয়া বেগম, শিখা বেগম, শাহনাজ বেগম, শওকত আলী, জান্নাতী বেগম, ফাতেমা বেগম ও মহসিন মৃধা’সহ একাধিক নারী-পুরুষ বলেন, গত একবছর পূর্বে মোফাজ্জল হোসেন নিহতের ঘটনায় আমিনুর সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি পালিয়ে যায় স্বপরিবারে। এরপর থেকে আমিনুর সরকার ও তার পরিবারের কেউ এ গ্রামে একদিনের জন্যও আসেনি। আমিনুর সরকারের বাড়ি ঝোপঝাড় ও মাকরসার বাসা বেধে পরিত্যক্ত হয়ে রয়েছে।

গ্রামবাসী জিসান মৃধা জনি ও জসিম মৃধার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের মুক্তি দেয়ার দাবী জানান।

Loading

শেয়ার করুন: