মাসুদ রানা:
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অবহিতকরন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, আমাদের সেবার যে জায়গা টুকু আছে সেদিকে আরও সচ্ছ হতে হবে। আমরা সবাই কিন্তু ভোক্তা,যারা ব্যাবসা করছেন তারাও পন্য কোননা কোন জায়গা থেকে কিনে খাচ্ছেন, সুতরাং তিনিও ভোক্তা। সে হিসাবে আমরা সবাই গ্রাহক। আপনি যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে সম্পদ অর্জন করেন,কোননা কোন ভাবে এটা শেষ হয়ে যাবে।
আামাদের সকলকে সতেতন হতে হবে। সচেতনতার জন্য আমরা লিফলেট দিয়েছি কিন্তু আমার জানামতে এই লিফলেট কোননা কোন পন্যের প্যাকেট বা ঠোংগা হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। তাহলে আমরা বা ব্যবসায়ীরা এই লিফলেট টি পড়েই দেখলাম না তাহলে এই আইন কি, লিখা আছে কি, সে বিষয়ে আমরা অবগত হতে পারলাম না, কি কি আইন বা নিষেধাজ্ঞা পরেও দেখলাম না তাহলে কিভাবে হবে।
৩০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে।
নেজারত ডেপিটিকালেক্টর কাজী মেশকাতুল ইসলামের পরিচালনায় সেমিনারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন ভোক্তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা মেজিট্রেট এএসএম মুছা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, জেলা ভোক্তা অধিকার সহ পরিচালক নুর হোসেন।
বক্তারা বলেন, সবার আগে ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে কারন আমরা ভোক্তারা যদি সচেতন হয়ে দ্রব্যের গায়ে মুল্য, উৎপাদনের তারিখ,মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ এগুলো আছে কিনা? যদি কোন একটা না থাকে তাহলে আমরা ওই জিনিস কেনা বন্ধ করে দিব তাহলে কিন্তু সেই ব্যবসা সুন্দর ভাবে পরিচালনা হবে।
উপস্থিত ছিলেন সচেতন নাগরিক কমিটির সহ সভাপতি পিজুষ কান্তি বড়ুয়া সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
উন্মুক্ত আলোচনা করেন, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপাল সাহা,বাবুরহাট বাজার ব্যবসায়িক সমিতির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ক্যাবের সদস্য বিপ্লব সরকার প্রমুখ।