কেএম নজরুলইসলাম, ফরিদগঞ্জ :
ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বেশ কয়েক বছর পর একটি উপলক্ষ পেয়ে বিএনপি পরিবারে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিকাল তিনটা বাজতেই আইফা মাঠে দলে দলে মিছিল নিয়ে লোকজন আসতে শুরু করে। সাড়ে তিনটার মধ্যেই হাজার হাজার মানুষে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘জাতির এক কঠিন সময়ে স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসান। বাংলাদেশে জিয়ার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে হলে তাঁর দর্শন লালন করতে হবে। আমরা বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় ক্ষমতাশীনদের সাথে আপোষ করিনি বলে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, তারপরও অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। যারা শেখ হাসিনা সরকারের সাথে লিয়াজোঁ করে চলেছেন, আজ তারা বড় বড় কথা বলেন। আজও কেউ কেউ আওয়ামীলীগকে আশ্রয় দিয়ে আগলে রাখছেন। একদিন আপনাদের মুখোশ উন্মোচন হবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী হামলায় আমাদের তিনজন লোক নিহত হয়েছে। কিছু কিছু নেতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে এখনো মামলা করা যায়নি। মনে রাখবেন, এর দাঁতভাঙ্গা জবাব জনগণ দিবেন। আমি ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। তৃণমূল থেকে রাজনীতি করেছি। ফরিদগঞ্জ বিএনপিতে আমার এবং আমার পরিবারের কী অবদান উপজেলাবাসী তা জানে। অতএব ফরিদগঞ্জ বিএনপি নিয়ে কিছু বলার আগে স্টাডি করে নিবেন।’
৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে, নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব আবদুল মতিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফরিদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি ও ফরিদগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম পাবক, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সফিউল বারী মুকুল, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন সোহেল, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজান গাজী, ১০নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কাউসার ভূঁইয়া, ২নং বালিথুবা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তাহের, উপজেলা মহিলা দলের সাবেক সদস্য সচিব শারমিন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন টেলু, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে আলম চৌধুরী, মো. আমির হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. মনজুর হোসেন, সদস্য মামুন পাটওয়ারী, মো. নকিব চৌধুরী, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন রনি, আরিফ তফদার, আরিফ রাড়ি, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল বাড়ি, পৌর যুবদলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এমরান তালুকদার, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এমরান হোসেন স্বপন, জিয়াউদ্দিন জিয়া, বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল হোসেন, সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হাফিজ হোসেন, রাসেল সর্দার, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অনিক হাছান মাছুম, গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ মো. রোকন, পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক রুবেল, যুবদল নেতা মো. মাহফুজ, আনোয়ার গাজী, সুমন মোল্লা, হাবিব মেম্বার, সবুজ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম সুমন, ইসমাইল হোসেন বাবু, ফরিদগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মো. পারভেজ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন মিজি, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউছার মিজি, রাফিকুল ইসলাম, মামুন, ছাত্রনেতা তানজিল গাজী, মো. জুয়েল, শরীফ হোসেনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী। #