উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ॥ আওয়ামী লীগে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল কাম সমাবেশে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য দেয়া এবং এটি ফেসবুক লাইভে প্রচার করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাণ্ডকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

তাঁরা বলছেন, দেশের উচ্চ আদালত থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য যে কোনো মিডিয়ায় প্রচার করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তারেক রহমানের বক্তব্য অনুষ্ঠানস্থলে বিশাল পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা এবং এটি ফেসবুক লাইভে প্রচার করাকে আমরা স্পষ্টভাবে আদালত অবমাননা হিসেবে দেখছি। তাঁরা বলছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল হোতা এবং পরিকল্পনাকারী হচ্ছে তারেক রহমান। সে এই মামলার প্রধান আসামি হিসেবে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। উচ্চ আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের কোনো ধরনের বক্তব্য যে কোনো মিডিয়ায় প্রচার করার ওপর উচ্চ আদালত থেকেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ৩০ এপ্রিল চাঁদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবন মুনিরা ভবন সংলগ্ন বিশাল মাঠে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেয়া তারেক রহমানের বক্তব্য বিশাল পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। আর এই বক্তব্য অনুষ্ঠানস্থল থেকে ফেসবুক লাইভে প্রচার করা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলছেন, একুশে আগস্টের মতো ইতিহাসের জঘন্যতম গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামি খুনি তারেক রহমানের বক্তব্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রচার করা হলেও প্রশাসন এখনো এ ব্যাপারে একেবারেই নীরব রয়েছে। এতে আমরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছি। এমনকি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি না আসায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। প্রশাসন এবং জেলা আওয়ামী লীগের নীরবতায় আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি এবং এ বিষয়ে আমাদের মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইউছুফ গাজী বলেন, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করা আদালতের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং একইভাবে জেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র থেকে বিবৃতি বা কর্মসূচি প্রত্যাশা করছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী ও অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া এক ও অভিন্নভাবে বলেন, এটাকে আমরা আদালতের রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে দেখছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন আশা করছি।

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, এটা সুস্পষ্টভাবে আদালত অবমাননা। এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা করছি।

Loading

শেয়ার করুন: