নারীদের পেছনে ফেলে দেশ কখনো এগুতে পারবে না: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারীরা। তাদের শিক্ষা, দীক্ষা, কাজ, কর্ম, স্বাধীনতা, সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে এই বিএনপি জামাত অপশক্তি, তারা চায় না যে নারীরা এগিয়ে যাক, তারা চায় না নারীরা শিক্ষিত, স্বাবলম্বী হোক, স্বাধীনভাবে নিজে আত্মসম্মান নিয়ে কাজ কর্মে স্বাধীনতা লাভ করুক। কিন্ত একটা দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী, এই নারীদেরকে পেছনে ফেলে রেখে কোনদিন একটা দেশ এগুতে পারে না। আর শেখ হাসিনার সময়েই নারী-পুরুষ সবাই সমান তালে এগিয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াত আমলে দেশ আগায় না, শেখ হাসিনার সময় দেশ এগিয়ে যায়। শেখ হাসিনার সময় নারী-পুরুষ সবাই সমানতালে এগিয়ে যায়। ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনে জনগণ আবারো নৌকাকে জয়যুক্ত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে। আমরা যেমন ভালো আছি। আমাদের সন্তানরা আরো উন্নত জীবন যাপন করবে নতুন প্রজন্ম সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগ আয়োজিতআলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। তার কন্যা দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র দিচ্ছেন। দেশকে একটা আত্ম মর্যদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিত করেছেন। আজকে সারা বিশ্ব বলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। সারাবিশ্বে শেখ হাসিনা বিশ্ব নন্দিত নেত্রী। এটি আওয়ামীলীগের গর্ব,আমাদের সম্মান,মার্যদা। আপনার শুধু ভেবে দেখে চাঁদপুরে গত ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আপনাদের ভোটে নির্বাচিত নৌকার প্রতিনিধি আছে বলেই গত ১৪ বছরে চাঁদপুর ৩ নির্বাচনী এলাকা এবং সারাদেশে যেভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন হয়েছে আগে এরকম উন্নয়ন হয়নি। তাহলে আমাদের বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শেখ হাসিনার সরকারের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে থাকে না, সবার গায়ে কাপড় আছে, পায়ে জুতো স্যান্ডেল আছে, মাথা গোজার ঠাই আছে, ঘর আছে, সবার ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায়, বিনা পয়সায় বই পায়, অসুস্থ হলে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়, ঔষধ বিনা পয়সায় পাওয়া যায়, হাতে হাতে মোবাইল, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। একেবারে চরাঞ্চলেও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, এখন চরাঞ্চলে গাড়ি চলে, এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলেই। কাজেই আমাদেরকে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে জয়ী করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, যারা আবারও ২০১৩, ১৪,২০১৫ সালের মতো জ্বালা পোড়া করতে চায়। ২০০৪ সালের একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেট, বোমা হামলা করতে চায়। ২০০১ সালের পরে সারাদেশে যেভাবে তান্ডব চালিয়েছিল, নারী ধর্ষণ,অগ্নি সন্ত্রাস করেছিল, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরকে দায় মুক্তি দিয়েছিল, তাদেরকে পুরস্কৃত করেছিল এবং এই দেশে হত্যা, গুম, ষড়যন্ত্র, অপরাজনীতি শুরু করেছিল। সেই অপশক্তিদের যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। কারণ যখনই তারা ক্ষমতায় যায় এদেশের মানুষ বঞ্চিত হয়, নির্যাতিত, নিপীড়িত হয়, এদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়, দেশ পিছনের দিকে যায়।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী সফর সঙ্গী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা। চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য অধ্যক্ষ আফরোজা খাতুনের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য এসএম সালাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী প্রমুখ।
নারী নেতৃবৃন্দের মধ্য বক্তব্য রাখেন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ফরিদা ইলিয়াস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য আয়েশা রহমান,ফেরদৌসী আক্তার, চাঁদপুর সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিদা বেগম,পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিপ্রা দাস,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়েশা আক্তার শ্যামলী,জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আলম,জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য খাদিজা বেগম,আকলিমা শিউলী।
আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে শত শত নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Loading

শেয়ার করুন: