পুরাণবাজার শহর রক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শনে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ পুরানবাজার অংশের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর পওর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম।

তিনি ১৭ই এপ্রিল সোমবার বেলা বারোটার সময় চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে নিয়ে পশ্চিম বাজার এলাকার রাম ঠাকুর দোল মন্দির, নাছির চৌধুরী তেলের মিল ও যুগিপট্টি এলাকার মেঘনার ভাঙ্গনে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ,রাম ঠাকুর দোল মন্দির কমিটির সভাপতি পরেশ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা।

এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড শহর রক্ষা বাঁধের উপসহকারী প্রকৌশলীগণও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৩.৩৬ কি.মি.এলাকা স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য দীর্ঘ চার বছর জাভা-যাত্রীর প্রকল্প নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে প্রকল্পটির স্ট্যাডি সম্পন্ন করে পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা হয়েছে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।এরমধ্যে প্রতিরক্ষা কাজের জন্য ৮২৯ কোটি টাকা লাগবে। বাকি অর্থ নদীর ড্রেজিংয়ের জন্য।

এই প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে বর্ষার সময় পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখানে যে ভাঙন ঝুঁকি থাকে, চাঁদপুরবাসী দুচিন্তাগ্রস্থ হয়।আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড আতঙ্কে থাকি। শহর রক্ষাবাঁধ ঝুঁকি মুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন,প্রকল্প অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হবে। নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসাবে পুরান বাজার এলাকার শহর রক্ষাবাঁধ আমরা পরিদর্শন করেছি।

এদিকে চেম্বারের পরিচালক গোপাল সাহা জানান, বাজার এলাকার দোল মন্দির সহ আশেপাশের অনেক জায়গায় মেঘনার ভাঙ্গনে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষার আগেই যেন এখানে কাজ করানো হয় বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে। তিনি আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান দেখার জন্য সরোজমিনে এখানে এসেছেন। আশা করি পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো রক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে কাজ করবে।

Loading

শেয়ার করুন: