১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৩টায় অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বুদ্ধিজীবীতের মধ্যে সেদিন সাংবাদিকদের মধ্যে একজন নারী সাংবাদিক ছিলেন তিনি হলেন ফরিদা পারভীন। তাকে রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে নিয়ে নিশংসভাবে হত্যা করা হয়। বুদ্ধিজীবীদের লাশ সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পৃথিবীর বহুদেশ;স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে কিন্তু বাঙ্গালী জাতির ন্যায় নয়মারস লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। হত্যাকারীরা সেদিন তালিকা করে হত্য করেছে কিন্ত সেই তালিকা আমারদর কাছে নেই। হত্যাকান্ড শুরু হয়েছিল মার্চ মার্চ ১০ তারিখ থেকে, এ হত্যা ছিল নৃসংশ ও নির্মম চাঁদপুরে স্মৃতিসৌধগুলো পৌরসভার অর্থায়নে সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হবে। বদ্ধভূমিগুলো চিহ্নিত করা হবে। অামরা একসকল দিবস আসলে আলোচনা করি কিন্তু পরে ভুলে যাই তা করলে হবে।
প্রধান অালোচকের বক্তব্য রাখেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও তৎকালীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম অাহবায়ক অজয় কুমার ভৌমিক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ১৪ ডিসেম্বরেই শুধু নয় পাকিস্তানী বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নয় মাস অনেক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। বুদ্ধিজীবীদের তালিকায় ১২২২ জনের খসরা তৈরি হয়েছে। এগুলো যাচাই বাচাই করা প্রয়োজন। সেদিন জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদসহ শত শত বুদ্ধিজীবীদের রাতের অাঁধারে হত্যা করা হয়েছিল। ১৪ জন সংবাদিক, শত শত অধ্যাপককে হত্যা করা হয়। সাধানা ঔষধালয়ে প্রতিষ্ঠাতা যোগেস বাবুকে হত্যা করা হয়েছিল। আরপি সাহাকে হত্যা করা হয়। আইন বিষয় মন্ত্রী ধিরেন দত্তকে হত্যা করা হয়। বুদ্ধিজীবীদের জন্য স্মৃতি সংরক্ষণ অতিব প্রয়োজন। বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের আমাদের যথাযথ সম্মান দিতে পারিনি। সেদিনের সে হত্যাকান্ডে পাকিস্তানীদের সহযোগিতা করেছির আমারদেরই দেশের কিছু কুলাঙ্গার রাজাকার আলবদরা। সারাদেশের সেদিন দেশের নব্বই
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অাহসান উল্লার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, হেলাল হোসেন, অ্যাডভোকেট চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, শহীদ পাটওয়ওরী, সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী, বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আউয়াল রুবেল, আল ইমরান শোভন, প্রচার সম্পাদক মাহবুবুল আলম সুমন, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম রনি, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রিয়াদ ফেরদৌস, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন জেলা শাখার নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কে এম মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা, চাঁদডুর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, যুগ্ম সম্পাদক মনির চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শওকত আলী, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন জেলা শাখার সহ সভাপতি অভিজিত রায়, কার্যকরি সদস্য ইয়াছিন ইকরাম, সালাউদ্দিন, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রহমান গাজী প্রমূখ।