
চাঁদপুর জেলা জুড়ে ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পলিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহরের বীরমুক্তিযোদ্ধা সড়কে লেকের পাড়ে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা হয়।
এরপর মহান স্বাধনীতা যুদ্ধে শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে ‘অঙ্গীকার’ পাদদেশে গভীর শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, জেলা পুলিশের পক্ষে এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পক্ষে এসপি সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।
এছাড়াও জেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের পক্ষ থেকে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এই দিন জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শিশুদের রচনা, আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্টেডিয়াম মাঠে দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মহান স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের পথ বেয়ে অনেক রক্ত আর ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে পরম কাঙ্খিত স্বাধীন ভূখন্ড, স্বতন্ত্র পতাকা ও জাতিসত্ত্বার পরিচিতি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার এই দিনে আমরা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের এবং সে সকল মা-বোনদের যাদের সম্ভ্রম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হোক ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অঙ্গীকার।
শহিদদের রুহের মাগফিরতা কামনা, জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোড ও অন্যান্য উপাসনলায়ে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুরে চাঁদপুর ক্লাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ এবং সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় জেলা কারগার ও সরকারি শিশু পরিবারে।