অভিনন্দন মেঘনাপাড়ের ভুবনজয়ী মেয়ে শিক্ষামন্ত্রী

 

মেঘনা বার্তা ডেস্ক ॥

অনেক দোলাচলকে জয় করে নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের দৃঢ়তায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলা যায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলো অবশেষে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানাতেই হয়। বিদেশি পর্যবেক্ষক দল ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের মানুষের গর্ব করা উচিত এরকম আন্তর্জাতিক মানের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্যে। সংবাদ সম্মেলনে ব্যক্ত করা তাদের এই মন্তব্য আমাদের জন্যে উৎসাহব্যঞ্জক।

এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরেও ছিলো টান টান উত্তেজনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভোটকেন্দ্রে ভোটার নেওয়ার কৌশলে ডামি প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই সুযোগে চাঁদপুর-৩ আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী ডাঃ দীপু মনির বিপরীতে প্রার্থী হন জেলা আওয়ামী লীগের এক সময়ের সভাপতি ও চাঁদপুর-৪ আসনের ২০১৪ সালের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। তিনি বিপুল ভোটে শিক্ষামন্ত্রীর পরাজিত হন। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের ডাঃ দীপু মনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসলেন। এই আসনে এটা একটা রেকর্ড হিসেবে ইতিহাসে স্থান লাভ করেছে।

শুরু থেকেই ডাঃ দীপু মনি তাঁর বচনে-ভাষণে, চলনে-আচরণে একজন আদর্শ জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভাবমূর্তি ধরে রেখেছেন। কখনও কোনো বক্তব্যে তিনি চটুল ভাষা ব্যবহার করেননি এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ হানেননি। নিজের শরীরকে কষ্ট দিয়ে তিনি জনগণের দোরে দোরে ভোট প্রার্থনা করেছেন। তাঁর নারী ভোটারদের তিনি অবলীলায় বুকে টেনে নিয়েছেন। তরুণ ভোটারদের সাথে তিনি নিজেই সেল্ফি তুলে তাদের মন জয় করে নিয়েছেন। বয়ষ্ক ভোটারদের প্রতি তাঁর সমীহ তাঁর পারিবারিক সংস্কৃতির অনন্য বিজ্ঞাপন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝিয়ে দিয়েছে কেন তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এতো আস্থাবান।

ভোটের প্রচারণায় তাঁর আন্তরিকতা আর সহাস্য মুখখানি জনগণের মনে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিয়েছে। দুই মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও এক মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি চাঁদপুরকে উন্নয়নের লীলাক্ষেত্রে পরিণত করেছেন। মানুষের অকল্পনীয় চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। আশা করা যায়, কোন ব্যত্যয় না ঘটিয়ে তিনি আবারও গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্বে আসীন হবেন। তিনি নির্বাচিত হওয়া মানেই বিশ্বে চাঁদপুর উজ্জ্বল হওয়া। তিনি নির্বাচিত হওয়া মানেই জাতীয়ভাবে চাঁদপুর সমীহ জাগিয়ে অবস্থান করা। এই জেলার নাগরিক হিসেবে তাঁর এই বিজয়ে আমরাও গর্বিত। আমরা মনে করি, যা উন্নয়ন তিনি বিগত দিনে করেছেন, ভবিষ্যতে তার চেয়ে আরও বেশি উন্নয়ন এবার চাঁদপুরবাসী প্রত্যক্ষ করবে। তাঁর এই বিজয় প্রমাণ করে দিলো, তিনিই চাঁদপুর-৩ আসনের দীপ্তিময় নক্ষত্র। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁর ধারে কাছে আসতে পারে এমন কেউ ভবিষ্যতে উঠে আসবে তা কল্পনা করা যায় না।

আমরা এই বিদুষী ও জনকল্যাণমুখী, জনবান্ধব জনপ্রতিনিধিকে হার্দিক অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও নিরোগ জীবন কামনা করি। জয় বাংলা।

Loading

শেয়ার করুন: