আপনাদের সাথে  আত্মার সম্পর্ক, জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত এ সম্পর্ক থাকবে : মেজর রফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপনাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক, রক্তের সম্পর্ক। জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত এ সম্পর্ক থাকবে। জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত আপনাদের কল্যাণে কাজ করে যাবো। বঙ্গবন্ধুর খুনি মোস্তাকের মৃত্যু হয়েছে কিন্তু তাদের প্রেতাত্মারা শাহরাস্তি হাজীগঞ্জে এখনো আছে। আমি বিশ্বাস করি এই বীরের জাতিকে কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারবে না। সাবধান তারা সুযোগ পেলে আপনাদেরকে চিবিয়ে খাবে। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলি জীবনে কোন হারাম খাইনাই খাবো না। কোন সন্ত্রাসী কে আশ্রয় দেই নি, আমার কাছে কখনো সন্ত্রাসীদের স্হান হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়ে বারবার পাঠিয়েছেন আপনারা আমাকে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে জয়যুক্ত করেছেন। এই নৌকার মালিক আপনারা আমি আপনাদের পক্ষে নৌকাকে ধারন করি। নৌকা ছাড়া আওয়ামীলীগের আর কোন প্রতিক নেই। এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর এই নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক। আমি বারবার নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়ে আপনাদের সেবায় কাজ করেছি। এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না এলাকায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। অসংখ্য রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ করেছি। আপনাদের জন্য দৃষ্টি নন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো। কোন অপশক্তি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। রাষ্ট্র ও জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য আপনাদের এক একটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ তাই বসে থাকবেন না কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। আমি কথা দিচ্ছি আগামীতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আগামী প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাবো।

৩ জানুয়ারি বিকেলে নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

শাহরাস্তি পৌর মেয়র হাজী আঃ লতিফের সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এম আনোয়ার হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন পাটোয়ারী, আওয়ামীলীগের নেতা এড. ইলিয়াস মিন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ইরান প্রমূখ।

জনসভার নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতিকের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দেয় নেতাকর্মীরা। জনগণের ব্যপক উপস্থিতি দেখে মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন আমি কখনো এত লোকের জনসমাগম লক্ষ্য করিনি। আমি জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত আপনাদের সাথে থাকবো।

Loading

শেয়ার করুন: