আপনারা প্রার্থীদের আমলনামা দেখে ৭ জানুয়ারি ভোট দিবেন : ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার

চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে ঈগল প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, আমি ৬২ সালে ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করি। যখন আমি এমপি ও দীর্ঘ ১২ বছর জেলার সভাপতি ছিলাম তারপরও সম্মান পাইনি, তাহলে সাধারণ কর্মীরা এ ১৫ বছরে উপেক্ষিত। ১৫ বছরের এমপি ১০ বছরের মন্ত্রী তার আমলনামা আপনাদের জানা আছে। আমি ২০০১ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছি এবং ১২ বছর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলাম আমার আমলনামাও জানা আছে। তাই আপনারা প্রার্থীদের আমলনামা দেখে ৭ জানুয়ারি ভোট দিবেন।

গতকাল বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন, মৈশাদী ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের বাবুরহাট বাজারে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনের গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যেই সিদ্বান্ত নিয়েছেন এবং তিনি বলে দিয়েছেন জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে জন্য জনতার আদালতে হাজির হও। জনগণ তাদের মূলদিয়ে জনগণ তাদের বিচার বিশ্লেষন করে যেই রায় দিবে। সেই রায় অনুযায়ী আমরা সংসদে কাকে নিবো সেটা আমরা দেখবো। আজকে সেই লক্ষ্যেই আমি মাঠে নেমেছি। আমি আওয়ামী লীগ করে বলেই ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচন করেছি।

তিনি আরও বলেন, বার বার দরকার শেখ হাসিনার সরকার, কিন্তু যারা বারবার ক্ষমতায় এসে নৌকাকে কলঙ্কিত করে দলীয় প্রকৃত নেতাদের দূরে রেখে হাইব্রীডদের নিয়ে থাকে তাদের দরকার নেই। একজন রতন মাস্টার আছেন যার মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগের সকল ঘুষের টাকা লেনদেন করা হয়। আমার কাছে দলমত নির্বিশেষে সবাই সমান এবং সকলেই সম্মানিত। যে যেই দলই করুকনা কেন, কেউ বলতে পারবেনা আমার কাছে কেউ কখনো অসম্মানিত হয়েছেন। আমি জেলা আ.লীগের একযুগ সভাপতি দ্বায়িত্ব পালনকালে আমরা আচার ব্যবহারে কেই কোন দিন অসম্মানিত হয়নি।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাকর্মী নির্যাতিত নিপীড়িত নিগৃহীত অপমান অপদস্থ সম্মান বিবর্জিত হয়েছেন। সম্মান পায় নাই, পদ পদবী পায় নাই। দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে সম্মান, সালাম শুভেচ্ছা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয়ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রকৃত নেতাকর্মীকে সম্মতি দিয়েছেন। শুধু নির্যাতিত নিপীড়িত নিগৃহীত অবহেলিত সম্মান বিবর্জিত নেতাকর্মী এবং চাঁদপুরবাসীর সকল সমস্যা সমাধানের জন্য এই বয়সে এই সময়ে নির্বাচনকে আমি যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জি. আব্দুর রব ভূঁইয়া, আব্দুর রশিদ সরদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহছান উল্লাহ আখন্দ, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, দপ্তর সম্পাদক শাহআলম মিয়া, সদস্য শরীফুল ইসলাম পাটওয়ারী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হাওলাদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক এস এম জয়নাল আবেদীন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন পাটওয়ারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ আলম খান, আলমগীর পাটওয়ারী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর আলম রনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Loading

শেয়ার করুন: