আমেরিকার এমআইটি ডাকছে চাঁদপুর কলেজের নাফিসকে

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি)। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের (এইচএসসি) বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাফিস উল হক। তার ডাকনাম সিফাত।

বাংলাদেশী পড়ুয়াদের মধ্যে নাফিজ সবচেয়ে কম বয়সে এমআইটির আন্ডারগ্রাজুয়েটে (স্নাতক) পড়ার চান্স পেয়েছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাটে নাফিসের বাড়ি। তার মা ও বাবা দুইজনেই শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাশ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ খবরটা চাঁদপুরবাসী ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এটি আমাদের কলেজের জন্য বড় এটি অর্জন। সে এমআইটিতে আন্ডারগ্রাজুয়েটে সরাসরি ভর্তির অফার পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এমআইটিতে তার চান্স পাওয়ার খবরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছি। এসময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের এনডিসি কাজী মোঃ মেশকাতুল ইসলাম ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাসান শাহরিয়ারসহ অন্যান্য শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। সে এই কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে বলে জানান অধ্যাপক অসিত বরণ দাশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার আগে নাফিজ ৩য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত চাঁদপুরের ছোট হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

এমআইটিতে নাফিসের ইচ্ছা কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার। নাফিস এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্স (আইওআই) এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন। কিভাবে এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে হেসে নাফিস বলল, ‘কোন কিছুই আসলে অসম্ভব নয়। চেষ্টা থাকতে হবে, আত্মবিশ^াস থাকতে হবে। ওরা আসলে দেখতে চায় পড়ালেখায় কতটা ভাল, মানুষ হিসেবে কেমন, কোন বিষয়ে আগ্রহ আছে কী না তার, সে কীভাবে সমস্যার সমাধান করছে। আমি আসলে অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্স এ ব্রোঞ্জ পদক লাভ করায়, তারা আমাকে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত করেছে। আমি সবার দোয়া চাই। বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। নবীন শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ থাকবে, ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে এবং এর পাশাপাশি এক্সটা কারিকুলাম একিটিভিটিসগুলোতে নিজেদেরকে যুক্ত রাখতে হবে।’

এ সময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান শাহ মোঃ মাসুম বিল্লাহ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিউ এম হাসান শাহরিয়ার, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুজ্জামান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেলিনা পারভীন এবং চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোঃ মেশকাতুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Loading

শেয়ার করুন: