ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি

 

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

চাঁদপুরকে বলা হয়ে থাকে ইলিশের বাড়ি। এক সময় এ চাঁদপুরের ইলিশ দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা হতো। তবে এখন চাঁদপুরের ইলিশের উৎপাদন কম থাকায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে বলে জানান চাঁদপুর স্টেশনের মাছঘাটের ব্যবসায়ীরা।

তাদের দাবি, চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। এখানকার স্থানীয় জেলেরা পদ্মা-মেঘনার মোহনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেলেও নোয়াখালী, হাতিয়া, ভোলা, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে আসছে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক মাস পর ঘাটে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। তবে ইলিশের মৌসুমে সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে শনিবার সকাল থেকেই ঘাটে ইলিশ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। প্রতিটি আড়তের সামনে কম-বেশি ইলিশের স্তূপ লক্ষ্য করা গেছে। কেউ বরফ ভেঙে প্যাকেটজাত করছেন, আবার কেউ ইলিশ সরবরাহের কাজ করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর থেকে গত ৪-৫ দিনে ধরে চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশের আমদামি অনেকটাই বেড়েছে। আজ প্রায় ৪-৫শ মণ মাছ আমদানি হয়েছে। তবে বেশির ভাগ মাছই ছোট। এ ঘাটে ৩০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ২৬ হাজার টাকা, ৫০০ গ্রামের উপর থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৩২ হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ প্রায় ৬০ থেকে ৬২ হাজার টাকা ও ১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৭০ হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে।

মাছ কিনতে এসে সাংবাদিক রোকনুজ্জামান রোকন জানান, মাছের দাম অনেক চড়া। আমি এক কেজির কম সাইজের মাছের দাম ১৬০০ টাকা কেজি করে কিনেছি। আমরা চাঁদপুরের মানুষ মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণে ইলিশ কিনতে পারি না।

সফিক নামে এক ক্রেতা জানান, যে হারে মাছ উঠেছে। তার তুলনায় মাছের দাম অনেক চড়া। খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাছ কেনা অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ইলিশ ব্যবসায়ী নুর নবী জানান, আগের চাইতে কিছুটা আমদামি বেড়েছে। চাঁদপুরের লোকাল মাছ অনেক কম তাই দাম একটু বেশি। এগুলো এক কেজি থেকে ১১শ গ্রামের ১৫ থেকে ১৬০০ টাকা করে বিক্রি করছি। দক্ষিণাঞ্চলের মাছ অনেক বেশি, তাই দাম কম।

আড়তদার কামাল হোসেন জানান, আগের তুলনায় মাছ একটু বেশি থাকলেও দাম কমেনি। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা অনেক কম। বাজারে মাছের দাম কমলে ক্রেতা পাওয়া যেত। যার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। চাঁদপুরের লোকাল মাছ অনেক কম। দক্ষিণাঞ্চলের মাছই বেশি। আমাদের বাজারে চাঁদপুরের লোকাল মাছ চলে বেশি। লোকাল মাছের বাজার অনেক চড়া। বেশি দাম থাকার কারণে বিক্রিও কম।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার জানান, চাঁদপুর মাছঘাটে আজ প্রায় ৪-৫শ মণ মাছ আমদানি হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাছই বেশি। মাছের সাইজ অনেক ছোট। চাঁদপুরের লোকাল ৪০-৫০ মণ মাছ এসেছে। এ মাছগুলো অনেক বড় দামও বেশি।

Loading

শেয়ার করুন: