স্টাফ রিপোর্টার :
মেয়াদ শেষ হওয়ার কাছা কাছি চলে আসায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার অপেক্ষায় নেতা কর্মীরা। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে উপজেলা জুড়ে নেতা কর্মীদের মাঝে আনন্দের পাশাপাশি চলছে চুল ছেরা বিশ্লেষন। কে পেতে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন। গুরুত্বপূর্ণ এই জেলা সদরের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলের অনেকেই আসা পোষণ করছেন।
ইতমধ্যে অনেকেই শহর ও শহর তলীতে সিনিয়ন নেতাদের ছবির সাথে নিজের ছবি দিয়ে ফেস্টুন লাগিয়ে প্রার্থী হওয়ার জানান দিচ্ছেন।
এর মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে বেশ জোরে সোরে মাঠে নেমেছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী।
তিনি বাবা মায়ের কবর জেয়ারত করে নিজ ইউনিয়ন সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন থেকে গণসংযোগ শুরু করেছেন। গতকাল রবিবার বিকালে ইউনিয়নের ফরকাবাদ বাজারে ব্যাপক গনসংযোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের পরীক্ষিত এই নেতার সাংগঠনিক দক্ষতা ও সততার কারনে তৃনমূল থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে রয়েছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা। দল মতের ঊর্ধ্বে সকলের কাছে রয়েছে তার গ্রহন যোগ্যতার বিশালতা।
ছাত্র জীবন থেকেই জিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে আসছেন। নেতৃত্ব জীবনের শুরু চাঁদপুর পৌর সভার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে। রাজনীতির সাংগঠনিক দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠায় তাঁকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়না । ১৯৯১ সালে থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দ্বায়ীত্ব পালন করেন তিনি, এরপর ২০০০ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য হন এবং পরবর্তিতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে ছাত্রলীগের সন্মেলনের মাধ্যমে সেই কমিটি থেকে বিদায় নেন তিনি ঐ বছরেই সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কমিটিতে তাকে রাখা হয়। তৃণমূল রাজনিতি থেকে উঠে আসা এই নেতা আওয়ামীলীগের প্রতিটি গনতান্ত্রীক আন্দোন সংগ্রামে সক্রিয় ভাবে দলের সাথে অংশ নিয়েছেন। এ যাবত পর্যন্ত যতটি নির্বাচনে দল অংশ গ্রহন করেছে সবগুলো নির্বাচনে তার মেধা ও শ্রমকে দলের পক্ষে কাজে লাগিয়েছেন। রাজনিতিতে তার দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠা দেখে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ২০১৬ সালে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ দেন। এ বিষয়ে আইয়ুব আলী বেপারীর সাথে কথা হলে
আইয়ুব আলী বেপারী জানান,পারিবারিক ভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে লালন করা পরিবারে আমার জন্ম। সেই ধারাবাহিকতায় ছাত্র জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে লালন করে আসছি। ছাত্র জীবনে ছাএ লীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু করে আজো এ দলের রাজনীতি করে আসছি।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বিএনপি, জামাত জোট সরকারের হাতে বহুবার নির্যাতিত হতে হয়েছে আমাকে। হামলা মামলার শিকার হয়েছি বহুবার, এছারা ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেছি, সুধু তাই নয় রাজনৈতিক জীবনে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সুখ দুঃখে সাধ্য মতো সবসময় তাদের পাঁশে থাকার চেষ্টা করেছি। সেই চেষ্টা বর্তমানেও অব্বহত রেখেছি।
তাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে সবসময় থাকার জন্য এবংগ বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আমি একজন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গনতান্ত্রীক একটি বিশাল রাজনৈতিক দল, সেই বিশাল দলটির খুদ্র একজন কর্মী হিসেবে দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিকট অনুরোধ, আমার রাজনিতির সাংগঠনিক দক্ষতা এবং বিগত দিনের সকল কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আমাকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তৃণমূল পর্যায়ে যে উন্নয়ন তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। এর পাশাপাশি দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করতে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা অতিতের ন্যায় অব্বহত থাকবে এবং দলের সন্মান অক্ষুণ্ণ রাখবো। সর্বোপরি আমার দল যাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা নিয়ে পাঠাবে তার পক্ষে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া সহ বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত রয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি। গনসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিয়াজি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক তালুকদার, সহ-সভাপতি জহির তালুকদার, আব্দুল মালেক কাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাদির মেম্বার, সদস্য মনির হোসের মেম্বার, ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আমু গাজী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব তালুকদার,৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মো.নজরুল ইসলাম মিজি, দপ্তর সম্পাদক মো. ইয়ানিন কাজী, ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সেলিম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক হিরু হাওলাদার, ৫নং ওয়ার্ড আ’লীগের৷ সভাপতি শরিফ তালুকুদার, ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মো.ইব্রাহিম খান, সাধারণ সম্পাদক নেছার বহদ্দার,৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মো. নোমান মিজি, সাধারণ সম্পাদক আহসান মিজি, ৯নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ইউসুফ ঢালী, সাধারণ সম্পাদক সামছলহক তপাদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার খান, সাধারণ সমম্পাদক মঞ্জিল খান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-আহব্বায়ক, মো.আরিফ তালুকদার, যুবলীগ নেতা আওলাদ হোসেন, সদর উপজেলা ছত্রলীগের সহ সভাপতি কাউসার হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহব্বায়ক নুর মোহান্মদ মুন্না,যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ খান, আসিফুল ইসলাম, মো. কবির হোসেন গাজী, রূবেল খান, ইমন হোসেন মিজি, মো. হাছান বেপারী। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহব্বায়ক আমানত, নুরে আলম, সাদ্দম গাজী, সদস্য অপু পাটওয়ারী।
