কচুয়ায় পানিকচুতে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন কৃষকের

কচুয়া প্রতিনিধি ॥

কচুয়ায় পানিকচুতে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক বশির উল্যাহ। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৮ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করেছেন পানিকচু। সাধারণত স্বল্প পানিতে যে কচু চাষ করা যায় তাকে পানিকচু বলা হয়। বর্ষার শেষে বাজারে যখন সবজির ঘাটতি দেখা দেয় তখন পানি কচুর লতি ও কান্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, যথাযথ গবেষণা, সরকারি প্রণোদনা প্রদান, সর্বোপরি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় বর্তমানে কচুয়া উপজেলায় বাড়ছে পরিবেশবান্ধব ও ভিটামিনযুক্ত বারি-২ জাতের লতিরাজ পানিকচুর চাষ। এ কচু চাষে নেই পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই, সম্ভাবনা নেই আর্থিক ক্ষতির। সেই সঙ্গে বর্তমান বাজারে, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ সবজির চাহিদা বাড়ায় লতিরাজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ উপজেলার কৃষকরা।

কচু চাষী বশির উল্যাহ বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে কচু চাষ করে আসছেন তিনি। প্রতি বছরে আমি কচু বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। চলতি মৌসুমে এবার প্রায় ৪৮ শতাংশ জমিতে পানিকচুর চাষাবাদ করি। তাছাড়া কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার লতিরাজ জাতের কচুর চারা রোপণ করি। কৃষি প্রণোদনা প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী পাই। ২০হাজার টাকা ব্যয় হলেও প্রথমে বিক্রি করেছেন লতি ১০ হাজার টাকা। লতি আসতে শুরু করেছে মাত্র। তিনি আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান। তার এ পানিকচু ও লতিরাজ কচু উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিক্রি করে থাকেন।

কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, সবজি হিসেবে কচু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। কচু উৎপাদনে খরচ ও রোগবালাই কম, দামও ভালো পাওয়া যায়। কচুয়া উপজেলায় ইতোমধ্যে উত্তর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের কৃষক বশির উল্যাহ লতিরাজ কচুর চাষাবাদ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও কৃষি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

Loading

শেয়ার করুন: