কচুয়ায় ৯৯৯ ফোন দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন দেবর-ভাবী

কচুয়া প্রতিবেদক॥

চাঁদপুরের কচুয়ায় জমিজমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় ৯৯৯ ফোন দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন কামাল হোসেন ও তার ভাবী সেলিনা বেগম।

শনিবার (৬ মে) উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চক্রা গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত কামাল হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৮টার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দক্ষিণ চক্রা গ্রামের আঃ হাকিমের পুত্র শরীফ হোসেন (৩০) ও আঃ মালেকের পুত্র মিল্লাত হোসেন (২৭), আবুল হোসেনের পুত্র মহসিন (২৫), আঃ আউয়ালের পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন (২৬) হারুন অর রশিদের পুত্র মাহবুব (২২), আশ্রাফ আলীর পুত্র আঃ হাকিম (৫৮) ও আব্দুল আলিম (৬০),আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী শাহানার বেগম, মো. রবি হোসেন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মোল্লা বাড়ির ইসহাক মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন ও তার ভাই জামাল হোসেনের স্ত্রী সেলিনা বেগমের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এসময় তারা সেলিনা বেগমের হাতে থাকা একটি আইফোন, একটি স্বর্ণের চেইন ও এক জোড়া স্বর্ণের বালা চিনিয়ে নিয়ে যায়।
এছাড়া তারা কামাল হোসেনের ও তার ভাই জামাল হোসেনের বসত বাড়ির দরজা জানালা টিনের বেড়া কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে। পরে নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ এ ফোন করলে কচুয়া থানার এসআই সুদীপ্ত শাহীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

কামাল হোসেন জানান, হামলাকারীরা প¦ার্শবর্তী বাড়ির বাসিন্দা। তারা বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করায় তারা আমাদেরকে হুমকি ধমকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলো। এরই প্রেক্ষিতে তারা শনিবার রাতে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

শরীফ হোসেন ও মিল্লাত হোসেনের সাথে মুঠোফোনে বারবার কল করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কচুয়া থানার এসআই সুদীপ্ত শাহীন জানান, ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে দক্ষিণ চক্রা গ্রামে গিয়ে আমি তাদেরকে উদ্ধার করি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল জানান,চক্রা গ্রামের কামাল হোসেনের নিকট হতে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Loading

শেয়ার করুন: