ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় চাঁদপুর জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জুম অ্যাপের মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রেসক্লাব সভাপতিসহ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অংশ নেন। সভায় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান অবস্থান এবং এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা তুলে ধরেন।

জেলা প্রশাসক আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা ‘সুপার সাইক্লোন’-এ রূপ নিতে পারে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে বাংলাদেশের উপকূল দিয়ে এটি অতিক্রমের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুর জেলাও উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে গণ্য। তাই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব চাঁদপুরেও পড়ে। সে জন্যে আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। জেলার সকল সাইক্লোন সেন্টার ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চলে যারা থাকে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্যে বলা হয়েছে। গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। নদী তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হবে। সকল ইউএনওদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোস্টগার্ডকেও বলা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল ইউএনও অফিসে এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এসব কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। সর্বোপরি সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং জনগণকে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক থাকতে জেলা প্রশাসক অনুরোধ জানান। এই জুম অ্যাপ প্লাটফর্মে ত্রিশেরও অধিক অংশগ্রহণ করেন।

Loading

শেয়ার করুন: