ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় চাঁদপুরে ৩৫৩ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত, সতর্কতায় মাইকিং

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এবং সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর সদর নৌ থানার পুলিশ মাইকিং করেছে।

শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চটার্মিনাল, বড় ষ্টেশন পর্যটন এলাকা, নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা ও চর এলাকার জনসাধারণকে মাইকিং করে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নৌপুলিশের ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে এ অঞ্চলের নৌ-পুলিশে সদস্যরা সক্রিয়ভাবে লঞ্চঘাট ও উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া নৌযান শ্রমিকদেরকে সরকারী নির্দেশনা মেনে নিরাপদে যাতায়াত করাসহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়াপর্যন্ত নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
উপকূলীয় অঞ্চলের আওতাভুক্ত জেলা চাঁদপুর। ফলে আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন।

জেলার ভারপ্রাপ্ত ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা হেদায়েত উল্লাহ বলেন, চাঁদপুরে ৩৫৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আমাদের শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ মজুত আছে। আমরা জেলার চরাঞ্চলে চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলার দুইটি করে মোট ছয়টি ইউনিয়নকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। এসব ইউনিয়নে বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সতর্কতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদে থাকতে বলা রয়েছে।

শনিবার রাত ৮টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের উপ-পরিচালক বশির আলী খান বলেন, চাঁদপুর নদী বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। আমাদের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। উধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হবে।

জেলা আবহাওয়া বিষয়ক কর্মকর্তা শাহ্ মুহাম্মদ শোয়ের বলেন, চাঁদপুরকে সুনির্দিষ্ট সংকেত দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সংকেত অনুসরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। যা সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ২৭ মে সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

Loading

শেয়ার করুন: