চাঁদপুরে বঙ্গবন্ধু পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডের তিন নদীর মোহনায় বঙ্গবন্ধু পার্কে ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছেন দর্শনার্থীরা। চাঁদপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে সময় কাটান। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আগমনে পার্কটি পরিণত হয় মিলনমেলায়। তবে গত ঈদুল ফিতরের তুলনায় এবার ঈদুল আজহায় দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে। 

 

শনিবার (১ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত দর্শনার্থীর আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে মোলহেড এলাকা। এছাড়াও চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনা ও ডাকতিয়ার বুকে স্পিডবোট ও লাল কাপড়ের ছাউনি লাগানো বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলতে দেখা গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেউ কেউ স্পিডবোটে ছুটে চলছেন। কেউ নৌকায় বন্ধুদের নিয়ে নদীতে ভাসছেন। কেউ ব্যস্ত মোবাইল ফোনে সেলফি আর ভিডিও ধারণে।

বঙ্গবন্ধু পার্কে আসা স্থানীয় মামুন নামে এক ব্যক্তি বলেন, আগের মতো লোকজন ভিড় জমাচ্ছে না। গত ঈদের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা খুবই কম দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থী কমেছে।

হিমেল নামে আরেকজন বলেন, চাঁদপুরে বড় ধরনের কোনো পর্যটনকেন্দ্র না থাকার কারণে এখানে আমরা ঘুড়তে আসি। এসে দেখতে পেলাম কিছু সংখ্যক মানুষ এসেছে। যদি বৃষ্টি না থাকতো তাহলে আরও বেশি লোক আসতো।

তিনি বলেন, আমরা মিনি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম। ওইখানে নদীর পানির উচ্চ চাপের কারণে চরটি ডুবে গেছে। তাই ওই স্থানে গিয়ে আনন্দ উপভোগ করা যায় না।

দর্শনার্থী শাহাদাত হোসেন জানান, এখানে এসে অনেক ভালো লাগল। ঈদের ছুটিতে আমরা সপরিবার এসেছি। আসলেই নদীর হাওয়ায় মনটা জুড়িয়ে যায়। অনেক আনন্দ পাচ্ছি। বাচ্চারাও বেশ আনন্দ পাচ্ছে। এখানে এসে স্পিডবোটে ঘুরেছি, বাচ্চারা নাগরদোলায় উঠেছে, ফুচকা খেয়েছে। অনেক আনন্দ লেগেছে।

জসিম নামে আরেক দর্শনার্থী জানান,  চাঁদপুরের ত্রি-মোহনা অনেক সুন্দর একটি জায়গা। ঈদের দিন কোরবানির মাংস কাটাকাটিতে ব্যস্ত ছিলাম । এখন ঘুরতে আসলাম।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়  বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। ঈদকে ঘিরে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত মোবাইল টিম রয়েছে। এতে মানুষ নির্বিঘ্নে শহরে যাতায়াত ও ঘোরাফেরা করতে পারছে।

Loading

শেয়ার করুন: