চাঁদপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

” জেন্ডার সমতাই শক্তিঃ নারী ও কণ্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারনে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন ” বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালন করা হয়। ১১ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনার উপ পরিচালক ডা: মো. ইলিয়াস সভাপতিত্ব বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

তিনি বক্তব্যে বলেন, কমিউনিটি কার্যক্রমে চাঁদপুর জেলা সারা বাংলাদেশের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আদম শুমারিতে নারীদের সংখ্যা বেশি। বেশকিছু জেলার মধ্যে চাঁদপুর জেলাও নারী বেশি। বাংলাদেশে প্রতি বর্গমাইলে জনসংখ্যা ১০১৫ জন। চিকিৎসা সেবা উন্নতির কারণে মানুষ এখন আর কষ্ট পাচ্ছে না। আমাদের বিশাল জনসংখ্যাকে কর্মক্ষম হিসেবে তৈরি করতে হবে। একজন নারী যদি চাকরি নাও করে, তারা বাসায় যে কাজগুলো করে তাদের সৃকৃতি দেই না। আমাদের যে সমাজ ব্যবস্থ, মেয়র দের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। তাই আমাদের সম্মানের দিকে তাকিয়ে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেই। বর্তমানে সবক্ষেত্রে মেয়েরা ভালো করছে। চাঁদপুরে প্রায় ২৬ লাখ জনসংখ্যা রয়েছে। এরমধ্য ৭ লাখ বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পরিবার পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ একটা সময় আমাদের সমাজে পরিবার পরিকল্পনা অনেকটাই নিষিদ্ধ ছিলো। ওই সময়টাতে এই বিষয়ে যারা কাজ করতো তাদের নানান ভাবে বাধা দেয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে এর থেকে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন সু-স্বাস্থ্যসহ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে আমরা সবাই অনেক সচেতন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর আগের অবস্থানে নেই। দেশের সকল বিভাগে অনেক উন্নতি করেছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনের এখন দৃশ্যমান। শুধু তাই নয়, বর্তমন বিশ্বে বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই নেতৃত্ব দেয়া যতো বেশী বাড়বে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ততো বেশী সমুজ্জল হবে। সেবা হলো এক প্রকার ইবাদত। তাই সেবার মানষিকতা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়।আমরা পুরুষরা যদি কথার ধরণ পাল্টাই তা হলে নারীরা ভআ থাকবে। জনসংখার ২২% কিশোরী। মাতৃ মৃত্যুর হার কমাতে হলে বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে।কৈশোর কলীন বিয়ে হলে তারা একলামশিয়া অর্থাৎ খিচুনী হয়ে মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। ডা: ইলিয়াস চাকুরী জীবনের শেষ সময়। কিন্তু তিনি চলে গেলে সেই স্হানটি পুরন হবার নয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেয়ওয়ান,স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযুদ্ধা সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী,চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএ আহসান উল্যাহ,সদর উপজেলার স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বেলায়েত হোসেন,প্যানের মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, রাখেন ৫ নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটোয়ারী।শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনার সহকারী পরিচালক এ কে এম আমিনুল ইসলাম।
আরো বক্তব্য রাখেন, মতলব দক্ষনি উপজেলা উপাদী উত্তর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সুমন চন্দ্র সরকার, পরিবার কল্যান সহকারী আলেয়া সুলতানা, মতলব উত্তর উপজেলা ফরাজি কান্দি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা মোর্শেদা আক্তার, কল্যাণপুর ইউনিয়নেরর স্যাকমো রহিমা খানম।

সভার শুরুতে কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন ১৪ নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। এবছর চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলা।

জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মী ও প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে পুরস্কৃত করা হয়েছে সূর্য হাসি নেটওয়ার্ক, উপাদি উত্তর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী আলেমা সুলতানা,ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা মোর্শেদা আক্তার,উপাদি উত্তর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সুমন চন্দ্র সরকার, কল্যাণপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্যামকো রহিমা খানম, গুটিপূর্ব ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, গুপ্তি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ এবং চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।

Loading

শেয়ার করুন: