স্টাফ রিপোর্টার :
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলেছে এই বিষাক্ত পার্থেনিয়াম এর সয়লাব। তেমনিভাবে চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর এলাকায় পশ্চিম প্লাটফর্মের রেল লাইনের পাশে ছোট একটি অংশে দেখা মিলেছে এই আগাছার। না বুঝে অনেকেই এর সংস্পর্শে আসছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে যেই রাস্তার পাশে এই আগাছাগুলো বেড়ে উঠছে তার পাশ দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। আর এতেই করে হয়তো বা দ্রুত এই বিষাক্ত গাছের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে মানবদেহে। মানুষের পাশাপাশি এর পাশ দিয়ে প্রতিনিয়ত বিচরণ করছে গবাদি পশু। আরে এতে বোবা প্রাণীদের শরীরে প্রবেশ করছে এর ক্ষতিকারক প্রভাব।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, এই পার্থেনিয়াম গাছের সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা নেই। যদি এর কোন ক্ষতিকারক দিক থেকে থাকে তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
এই বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়াত আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, পার্থেনিয়াম গাছের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে শরীরে চুলকানি এবং এলার্জি জনিত সমস্যা হওয়ার কথা শুনেছি। শুনেছি এর প্রভাবে আরো ক্ষতিকারক দিক থাকতে পারে। আশা করছি এই বিষয়ে সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দ্রুত সময়ে সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।
আরো বলেন, যেসব স্থানে এইসকল আগাছা জন্মায় পরামর্শ দিব দ্রুত সময়ে এগুলি কেটে পুড়িয়ে ফেলতে। এছাড়াও আগাছা নাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিলে এই গাছ দ্রুত সময়ে মরে যাবে।