চাঁদপুরে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম বৃক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার :

গাছ জীবের পরম বন্ধু। হোক সেটি বিশাল আকৃতির বটবৃক্ষ নয়তো ছোট ছোট ঘাস। কারণ জীবের বেঁচে থাকার জন্য গাছ অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। গাছের নিঃসৃত অক্সিজেন জীব গ্রহণ করে এবং জীবের নিঃসৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গাছ শোষণ করে নেয়। পৃথিবীতে এই চক্র চলছে আদিম থেকে অনন্ত।এছাড়াও গাছ থেকে জীব পেয়ে থাকে ফলমূল, কাঠ, ঔষধি উপাদান সহ নানাবিধ উপকরণ। আবার এমন কিছু লতা, পাতা ও উদ্ভিদ রয়েছে যা প্রাণী জগতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই একটি ক্ষতিকারক উদ্ভিদের সন্ধ্যা মিলেছে যার নাম পার্থেনিয়াম। প্রকৃত অর্থে পার্থেনিয়াম এক ধরনের বিষাক্ত আগাছা। যার প্রভাবে জীবদেহে সৃষ্টি হয় অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস সহ নানাবিধ সমস্যা।

এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলেছে এই বিষাক্ত পার্থেনিয়াম এর সয়লাব। তেমনিভাবে চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর এলাকায় পশ্চিম প্লাটফর্মের রেল লাইনের পাশে ছোট একটি অংশে দেখা মিলেছে এই আগাছার। না বুঝে অনেকেই এর সংস্পর্শে আসছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে যেই রাস্তার পাশে এই আগাছাগুলো বেড়ে উঠছে তার পাশ দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। আর এতেই করে হয়তো বা দ্রুত এই বিষাক্ত গাছের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে মানবদেহে। মানুষের পাশাপাশি এর পাশ দিয়ে প্রতিনিয়ত বিচরণ করছে গবাদি পশু। আরে এতে বোবা প্রাণীদের শরীরে প্রবেশ করছে এর ক্ষতিকারক প্রভাব।

সরে জমিনে দেখা যায়, কয়েকজন পথচারী এ বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছের পাশ দিয়ে হাঁটছে এবং গাছে স্পর্শ করছে। বিশেষ করে ফুলগুলি দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ার শিশুরা এই ফুলগুলো নিয়ে খেলা করছে। এতে এই গাছের বিষাক্ত প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে। ফুলের ছোট ছোট রেনু অনায়াসে নাক মুখ দিয়ে ঢুকে ছড়িয়ে পড়ছে পুরো দেহে।কয়েকজন পথচারীকে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম এর প্রভাবের বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন, কোন উদ্ভিদ গুলো আমাদের জন্য উপকারী এবং কোনগুলো ক্ষতিকর এই বিষয়ে আমরা প্রায় ধারণা রাখি না। যদি এই গাছ ক্ষতিকর হয়ে থাকে তাহলে আমরা এই পরিত্রাণ চাই। ক্ষতিকর উদ্ভিদ সম্বন্ধে যদি ঢালাওভাবে পচা-প্রচারণা হতো তাহলে আমারা সাধারন মানুষ উপকৃত হতাম।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, এই পার্থেনিয়াম গাছের সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা নেই। যদি এর কোন ক্ষতিকারক দিক থেকে থাকে তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।

এই বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়াত আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, পার্থেনিয়াম গাছের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে শরীরে চুলকানি এবং এলার্জি জনিত সমস্যা হওয়ার কথা শুনেছি। শুনেছি এর প্রভাবে আরো ক্ষতিকারক দিক থাকতে পারে। আশা করছি এই বিষয়ে সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দ্রুত সময়ে সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।

আরো বলেন, যেসব স্থানে এইসকল আগাছা জন্মায় পরামর্শ দিব দ্রুত সময়ে এগুলি কেটে পুড়িয়ে ফেলতে। এছাড়াও আগাছা নাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিলে এই গাছ দ্রুত সময়ে মরে যাবে।

Loading

শেয়ার করুন: