চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে এক মাসে ২০৩ জেলের কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে ১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ৬৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে এসব মোবাইল কোর্টে ২০৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। জরিমানা আদায় করা হয় ৭৪হাজার ৯০০টাকা। মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় ২৩জন জেলেকে। এসব ঘটনায় মামলা হয় ১৯৪টি। জব্দ করা হয় ৬৪ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫৮৩.৪ কেজি জাটকা।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য গনমাধ্যমেক নিশ্চিত করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২৭ নভেম্বর ২১৪ সালের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য-৩ অধিশাখা কর্তৃক প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনমূলে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস মেঘনা ও পদ্মা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল হতে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় জাটকা নিধন প্রতিরোধের জন্য সকল প্রকার জাটকা মাছ আহরণ, পরিবহন, মওজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষ্ধি ঘোষণা করা হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে এ জেলায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাটকা নিধন প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এর নেতৃত্বে জেলার অভয়াশ্রম সংরক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় জেলা প্রশাসক এর নেতৃত্বে পরিচালিত টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

উক্ত অভিযানে পুলিশ বিভাগ, জেলা মৎস্য বিভাগ, নৌ বাহিনী, নৌ পুলিশ, কোস্টগাড সহায়তা করছে। মেঘনা ও পদ্মা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল হতে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকার জলসীমায়, নদীর তীরবর্তী মাছের আড়ৎ, মাছবাজার, মাছঘাট, বরফকল এলাকায় জাটকা আহরণ, পরিবহন, মওজুদ, বাজারজাতকরণ অথবা বিক্রয় প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে নৌ র‌্যালি, পোস্টার, লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জাটকা নিধন প্রতিরোধ সম্পর্কে জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

উল্লেখিত কারাদন্ড প্রাপ্ত ২০৩জন আসামীর মধ্যে ৪ জন আসামীকে ৩দিন, ৩জনকে ১০দিন, ১৮৪জন আসামীকে ১মাস করে এবং ১২জন আসামীকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বং করা হয় এবং জাটকা ইলিশ স্থানীয় দুস্থ জনসাধারণ, এতিমখানা ও কারাগারের কয়েদীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। জাতীয় মাছ ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা মাছ আহরণ, পরিবহন, মওজুদ, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করার কার্যক্রম জেলা প্রশাসন এবং জেলা টাস্কফোর্স কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

Loading

শেয়ার করুন: