চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৩ মার্চ সোমবার সকালে পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।

এসময় এই মহান স্বাধীনতার মাসে নিবন্ধিত সকল মুক্তিযোদ্ধা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল শহীদ এবং যার নামে এই স্কুল শহীদ জাবেদ, প্রয়াত সকল শিক্ষকদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তিনি বলেন, এই স্কুলটি যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখনকার সময়ে আশেপাশে প্রয়োজনের তাগিদে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কালের বিবর্তনে প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পার করে উচ্চ মাধ্যমিকের দিকে যাচ্ছে। আমাদের এই অঞ্চলের মেয়েরা মাধ্যমিক পার হওয়ার পর অনেক মেয়েরা বিশেষ করে চাঁদপুর কলেজ বা মহিলা কলেজে সুযোগ পায় না তখন খুব দূরে তাদের বাবা-মায়েরা মেয়েদেরকে পড়তে দিতে চায় না। তার কারণ এক হচ্ছে যাতায়াত আবার মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টাও আছে। সর্বোপরি বাবা মা, শিক্ষার্থীর আগ্রহ এবং সামর্থ্য থাকা সত্বেও আর পড়াতে চান না। তখন হয়তো মেয়েগুলার লেখাপড়া বন্ধ করে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমরা মনে করি সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য এটা বড় একটা ক্ষতি। সেই চিন্তা থেকেই এই স্কুলটাকে কলেজে রূপান্তর করা হয়। আমি বিশ্বাস করি মাধ্যমিকের পর থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত অনেক ধরনের ম্যাচিউরিটির পরিবর্তন হয়। আর এই পরিবর্তন থেকেই সে ইন্টারমিডিয়েটের পরে অনার্স, মাস্টার্স করবে।

তিনি শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ দীপু মনিকে ধন্যবাদ জানাই এজন্যই যে তিনি শিক্ষামন্ত্রী থাকা অবস্থায় শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন এবং শিক্ষার জন্য যে ভবন প্রয়োজন শিক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমেই তা পেয়েছি। সেজন্য শিক্ষামন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে সকলেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা স্কুল নিয়ে আরো ভাবছি যেমন কলেজ করতে হলে প্রথম শর্ত হলো আমাদের ভূমির পরিমাণ থাকার কথা ৮৫ শতাংশ, আমাদের পুরো ভূমিই আছে কিন্তু দখলে আছে ৭৫ শতাংশের কাছাকাছি বাকিটা মামলায় আছে। আমরা যদি সঠিক থাকি সবাই একসাথে থাকি তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের জায়গা আমরা নিশ্চয়ই ফেরত পাব।

শিক্ষক শিক্ষিকাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর আপনাদের আপ্রাণ চেষ্টায় এই স্কুলের রেজাল্ট খুব সুন্দর হয়েছে এবং শতভাগ পাস করেছে। এ রেজাল্ট আপনাদের ফসল আপনাদের কাছে পৌরসভার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ রেজাল্ট আপনাদেরকে যেমন অনুপ্রাণিত করেছে আমাদেরও করেছে এবং অভিভাবক যারা আছে তাদেরও অনুপ্রাণিত করবে। আমি এই প্রতিষ্ঠানের আরো কিছু কাজের আশ্বাস দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা, স্কুলের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব এ বছরই করার আশ্বাস প্রদান করেন।

সহকারী শিক্ষক দীপক চন্দ্র দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অত্র স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুক ।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামাল হোসেন, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, শিক্ষা উপ কমিটির আহবায়ক খালেদা বেগম, ১০ ১১ ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর আয়েশা রহমান, প্রাক্তন ছাত্র এবং ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, অভিভাবক কমিটির সদস্য মমিন খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আয়েশা রহমান লিলি, ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউনুস শোয়েব, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বাবু পাটোয়ারী, সহকারী শিক্ষক রীনা নন্দী, মোস্তফা কামাল, ফিরোজা আক্তার, তাসলিমা আক্তার, সুলতানা রাজিয়া, আমেনা আক্তার, নূরে আলম পাটোয়ারী, ফাহমিদা ফারজানা, খোরশেদ আলম, ফয়েজ আহমেদ, সম্রাট জমাদার, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোবারক হোসেন, আমেনা বেগম, সাহিদা পারভীন, তাবাসসুম জান্নাত, উম্মে সালমা, রূপালী, আব্দুর রহমান, নার্গিস বেগম, আব্দুল করিম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মেহেদী হাসানের কন্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং আফরোজা নাসরিন আদিয়ার কন্ঠে মানপত্র পাঠ, শিক্ষার্থীরা অতিথিদের স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন লগো সম্বলিত কোট পিন, ফুল দিয়ে বরণ ও জাতীয় সংগীত মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা হয় পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

Loading

শেয়ার করুন: