চাঁদপুর সদরে বিলবোর্ড সরাচ্ছে কারা ?

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিবেশ ক্রমশ নোংরামির দিকে যাচ্ছে। কোনো কোনো প্রার্থী পেশীশক্তির বলে দলের নিরীহ নেতা-কর্মীদের নিজের পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিলবোর্ড ফেলে দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন জনগণ এবং দলের নেতা-কর্মীরা।

আসছে মে মাসে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে যতো উৎসাহ-উদ্দীপনা, প্রার্থী নিয়ে যতো জল্পনা-কল্পনা এখনো পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেই চলছে। অন্য দলে এ নির্বাচন নিয়ে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো আলোচনা দেখা যাচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠ গরম করে রেখেছেন। চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তিনজনের প্রচার-প্রচারণাই এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। তাঁরা হচ্ছেন সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডঃ হুমায়ুন কবির সুমন ও রাকিব মাঝি। এই চারজনই সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের ফেস্টুন, বিলবোর্ড লাগিয়ে নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। একই সাথে তাঁরা নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগ এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। এখনো পর্যন্ত তাঁরা কেউ কারো বিরুদ্ধে অথবা তাঁদের অনুসারী কেউ কারো বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বক্তব্য বা কথাবার্তা বলেননি। এমন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে প্রচার-প্রচারণাকে জনগণ এবং নেতা-কর্মীরা সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তবে মাঠের কিছু কিছু চিত্র দেখে বলা যাচ্ছে যে, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে কোনো মহল অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে।

সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব আলী বেপারীর অনুসারী ও সমর্থকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্পটে আইয়ুব আলী বেপারীর অনেক ফেস্টুন, বিলবোর্ড আমরা লাগিয়েছি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, অনেক জায়গায় সেসব বিলবোর্ড ফেস্টুন নেই। সেখানে অন্য প্রার্থীর বিলবোর্ড। বিশেষ করে স্টেডিয়াম রোড, বাসস্ট্যান্ড, চেয়ারম্যানঘাট, ষোলঘর এলাকায় আইয়ুব আলী বেপারীর কোনো ফেস্টুন-বিলবোর্ড নেই। কুচক্রী মহল আইয়ুব আলী বেপারীর এসব প্রচারণা ফেলে দিয়েছে।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে পেশীশক্তি দেখিয়ে জনগণের মন জয় করা যায় না। পেশীশক্তির মহড়া দিয়ে মাঠে আতঙ্ক ছড়ানো যায়, কিন্তু জনগণের আস্থা এবং ভোট পাওয়া যায় না। জনগণের ভালোবাসা পেতে হলে তাদের কাছে যেতে হবে, তাদের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। তারা পেশীশক্তির প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

Loading

শেয়ার করুন: