নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর -২ (মতলব উত্তর – দক্ষিণ) আসনে বেশ কয়জন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন ।এরাসহ এ পর্যন্ত আটজন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। গ্রীণ সিগনাল পেলে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করবেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এমন আওয়াজ উঠেছে এ আসনে ।
মনোনয়ন ফরম উত্তোলনকারিরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসান সিআইপি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি ও ঢাকাস্থ চাঁদপুর আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এডভোকেট জেসমিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী জাকিয়া সুলতানা শেফালি, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, মতলব উত্তর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এসি মিজান ও রেল শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট হুমায়ুন কবির। নায়েমের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. লোকমান হোসেন ।
এরা সবাই চলতি সপ্তাহে মনোনয়নপত্র জমা দিবেন বলেন জানা গেছে। তারা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করে নৌকার প্রতীক পাওয়ার আশায় কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আলাদা আলাদা কথা বলে এমনটি বুঝা যায় যে তারা প্রত্যেকই কারো না কারো গ্রীণ সিগনাল পেয়ে আছেন। তবে সাধারণ সমর্থকদের ধারণা হচ্ছে মনোনয়নের শেষ লড়াইটা সাবেক মন্ত্রী স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথেই হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এ আসন থেকে ৩ বার সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। একই সাথে পর্যায়ক্রমে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে এ নির্বাচনী আসনে ব্যাপক উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার নির্বাচনের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক আইয়ুব আলী গাজী বলেন, মায়া চৌধুরী মতলবকে সাজিয়েছেন ।কাজেই আগামীতে তিনি এমপি হলে তার অসমাপ্ত কাজগুলি তিনি সম্পন্ন করতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. শামসুল আলম একুশে পদক পাওয়া বরেন্য অর্থনীতিবিদ এবং দীর্ঘ ১২ বছর পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে দলীয় সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সুনজরে আছেন বলেও জানা গেছে। তাছাড়া তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। একজন বিনয়ী ও পরিচছন্ন মানুষ হিসেবেও তাঁর খ্যাতি রয়েছে। গ্রামের বাড়ী মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামবাদ ইউনিয়নে।
অধ্যাপক ড.শামসুল আলম বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ মাস্টার বলেন,৪৪বছরের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছি আমি। অধ্যাপক ড. শামসুল আলম একজন স্বচ্চ ইমেজের এবং সৎ ও যোগ্য লোক।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয উপ কমিটির সদস্য ইসফাক আহসান গত নির্বাচনেও তিনি জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে চেয়েছিলেন। সমাজ সেবক হিসাবে তিনি দীর্ঘ অনেক বছর যাবৎ এলাকায় কাজ করছেন। নানা সামাজিক কর্মকান্ডে যোগ দিচ্ছেন । একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসাবেও তার পরিচিতি রয়েছে।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শেফালী আক্তার। তিনি গত নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন।
জাতীয় পার্টির একমাত্র প্রার্থী এমরান হোসেন মিয়া। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির দীর্ঘদিনের সভাপতি। এর আগেও তিনি চাঁদপুর -২ নির্বাচনী আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন চাঁদপুর ২ আসনে দল থেকে আমাকে অগ্রিম দলীয় নমিনেশন দে হয়েছে । সেই লক্ষ্যে আমি মতলবে অনেক আগে থেকেই কাজ করে আসছি জনগনের যথেষ্ঠ সাড়াও পাচ্ছি।আমার নির্বাচনী এলাকায় আমার নানা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে ।