ডাকাতি, চুরি এবং খুন-খারাবিরসহ ১৫ মামলা আসামী নূর নবী আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

ডাকাতি, চুরি এবং খুন-খারাবিসহ ১৫ টি মামলার আসামী ও চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার আলোচিত কুলেস হত্যা মামলার প্রধান আসামী নূর নবীকে আটক করেছে চাঁদপুর পিবিআই। আটক নূর নবী নূর নবীর বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ঢেল গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ছেলে।

পিবিআই পুলিশ জানায়, গত ২৮ফ্রেবুয়ারী সকালে মতলব দক্ষিণ উপলজেলার নাগদা সাকিনস্থ মতলব টু গৌরিপুরগামী পাকা সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে জনৈক ইউসুফ বেপারীর ভরাটকৃত জমির উপর একটি অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। পরে পিবিআই ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মাধ্যামে জানতে পারে ওই ব্যক্তি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার চর মটুয়া গ্রামের জহির আহম্মদের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন ওরফে মিলন (৩৩)। তার মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাটি তদন্তরের দায়িত্ব চাঁদপুরের পিবিআইকে দেয়া হয়। সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তারা জানতে পারেন নূর নবীসহ ৫-৬ জন এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত। এই ঘটনার পর মূল খুনিকে ধরতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে পিবিআই পুলিশ। পরে শুক্রবার(২৪) মার্চ ভোররাতে কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌরসভার মোহনা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় ।

বিকেলে চাঁদপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, মতলবে পাওয়া লাশের পরিচয় পেতে ওই ব্যক্তির মুঠোফোনের সূত্র ধরে তদন্ত হয়। পরে জানাযায় নূর নবীসহ ৫-৬ জন এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত। তাদেরকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করা হয়। তারপরই খুনের রহস্য এবং এর প্রধান পরিকল্পনাকারীকে আটক করতে সক্ষম হই । আজ দুপুরে আটক নূর নবীকে চাঁদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে। নূর নবীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, চুরি এবং খুন-খারাবির চট্টগ্রাম, নোয়াখালী এবং কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ১৫টি মামলা রয়েছে। নিহত দেলোয়ার হোসেন মিলন নূর নবীর সহযোগী ছিলেন। একটি ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগি এবং পরে পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া কথা বলার অপরাধে চট্টগ্রাম থেকে ডেকে এনে সহযোগীদের নিয়ে মিলনকে হত্যা করে নূর নবী।

Loading

শেয়ার করুন: