নীতির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীও পিতার মতো আপসহীন : দীপু মনি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বের সামনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন- তিনি ফিলিস্তিনির মানুষের পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তখনই আমরা বুঝি নীতির প্রশ্নে তিনিও পিতার মতো আপসহীন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস) আয়োজিত বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক বক্তৃতা-৫ ‘আশা-নিরাশায় দোলায় হে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে, ভয়ও বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা নৌকার পাকা মাঝি। তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পারি দিয়ে তার নৌকা পাড়ে পৌঁছাবে ইনশাআল্লাহ।

দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছেন আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা সে পথে হাঁটছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল মানুষের অধিকার দেওয়া। তিনি সারা বিশ্বের শোষিত মানুষের বিপ্লবের নেতা হয়েছিলেন। তাকে নির্বংশ করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। দীর্ঘ ৪২টা বছর প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাকে ১৫ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। স্রষ্টা তাকে বাঁচিয়েই রেখেছেন তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য। পঁচাত্তরে তারা তাদের কাজটি সমাপ্ত করতে পারেনি। তারা এখনো তৎপর।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য এবং মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করে গেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে কেউ হত্যা করতে পারে তা কেউ কল্পনাও করেনি। যারা তখন প্রতিবাদ করবে বা নেতৃত্ব দেবে তারা তো কারাগারেই ছিল। মাঝে মাঝে কারাগারে আমার যাওয়ার সুযোগ হতো, তখন সারারাত মানুষের আর্তনাদ শুনতাম। তখন প্রতিবাদের কণ্ঠকে অত্যাচার বা মেরে ফেলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন না তার নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. সনৎকুমার সাহা বলেন, একটি দেশের প্রেক্ষাপট শুধু তার ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকে না। অন্যান্য দেশ কীভাবে পরিবর্তন হচ্ছে তা আমাদেরও একটি লক্ষণীয় বিষয়। বঙ্গবন্ধু সমাজ ও রাজনীতি পরিচালনায় মানুষের কল্যাণের পথ বাছাই করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যা মানুষের জন্য উপযুক্ত পথ ছিল। তা তিনি বাছাই করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর যে দুটি দিক সকলকেই মুগ্ধ করে তা হল তিনি ছিলেন অসামান্য স্মৃতিশক্তি ও মানুষের প্রতি সহনশীলতার অধিকারী ছিলেন। এগুলোর মাধ্যমে তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আশা-নিরাশার দোলায় হে- এই বক্তৃতাটি বঙ্গবন্ধুর দেশ গঠন পরিকল্পনা ও তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির এক অসাধারণ বিশ্লেষণ। গভীর ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ ও তার স্বপ্ন সমন্বয়ের এক রূপরেখা পাই এই বক্তৃতায়। বক্তৃতাটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনীতিক, দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশকে ভালোবাসেন এমন সবার জন্য আবশ্য পাঠ্য।

বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএসের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজিমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Loading

শেয়ার করুন: