প্রবাসী প্রেমিকের সাথে অভিমানে প্রাণ গেল হাজীগঞ্জের সালমার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দুবাই প্রবাসী ইমন মঙ্গলবার সকালে সালমার সাথে ফোনালাপ। কথা কাটাকাটি। অভিমানে কল কেটে দিলেন সালমা। দুবাই প্রান্ত থেকে ইমনের কল বারংবার। রিসিভ করেনি সালমা। উপায়ন্ত না পেয়ে সালমার মা রানু বেগমকে ফোন করলো ইমন। সালমা যেন তার ফোনটা রিসিভ করে- এমন আকুতি ইমনের। সেই ফোনটা হাতে রেখে ঘরের কাছে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পান মা রানু বেগম। উঁকি মেরে যতটুকু দেখলো সালমা ঝুলে আছে। হাত থেকে পড়ে গেলো সেই মুঠোফোন। তার ডাক-চিৎকারে ছুটে যান প্রতিবেশিরা। ঘরের দরজা ভেঙে সালমাকে আর জীবিত পাওয়া সম্ভব হয়নি। ততক্ষণে ইমন বুঝতে পারেনি যে,তার সাথে অভিমানেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন সালমা আক্তার।

ইমন আর সালমার পরিচয়ও হয় মুঠোফোনে। সিলেটের বাসিন্দা ইমন দুবাই প্রবাসী। তারা একে অপেরকে ভালোবেসেছেন। সালমার বাবার বাড়ী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের বোরখাল গ্রামে। ওই গ্রামের বড় বাড়ীর মৃত বিল্লাল হোসেনের বড় মেয়ে সালমা আক্তার (২৬)। সে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহনন করে।

খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস মিঞা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সুরতাহাল রিপোর্ট শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।

সালমার মা রেণু বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সালমার দুটি বিয়ে হয়। প্রথম স্বামী মারা যান। পরে তাকে নোয়াখালী বিয়ে দেয়া হয়। দ্বিতীয় স্বামী নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার জাফর ইসলামের সাথে মুঠোফোনে পরিচয় হয় সালমার। সে সুবাদে পারিবারিক ভাবে বিবাহটি হয়। দ্বিতীয় স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তার। এরআগেই ইমনের প্রেমে আসক্তি হয়ে পড়েন। এবার চলে গেলেন পরপারে।

Loading

শেয়ার করুন: