ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জের গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচিত করার অভিযোগে স্বামী, শশুর, শাশুড়ি, দেবরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শনিবার বিকালে ইসরাত জাহান বিথী (২৫) নামে ওই গৃহবধূর পিতা আবুল বাশার বাদী হয়ে মেয়েকে মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন অভিযোগ তুলে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মেয়ের স্বামীসহ ৫জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
এর আগে থানা পুলিশ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ঘনিয়া থেকে শনিবার (৪ মে) দুপুরে ইসরাত জাহান বিথী (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্দার করে।
জানা গেছে, ৮ বছর পূর্বে ইসরাত জাহান বিথীর সাথে ইকবাল মাহমুদ সজীবের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ফাইজান মাহমুদ (৭) নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। শনিবার (৪ মে ) ইসরাত জাহান বিথীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তার বসত ঘরে ।
বিথীর বাবা ও মামলার বাদী আবুল বাশার জানায়, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ে নানা ভাবে শারিরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়। এইসব নিয়ে শালিশী বৈঠক হয়। তার জামাতার চাকুরির জন্য ১১ লক্ষ টাকাসহ বিভিন্ন সময়ে অনেক অর্থ দিয়েছেন। তবু মেয়ের জীবনে সুখ আসেনি। স্বামী, শশুর , শাশুড়ি ও ননদ ও দেবরের মানসিক নির্যাতনের কারণে অপমান ও অপদস্ত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে বাধ্য হয়।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই জাহাঙ্গীর বলেন, গলায় ফাঁস দেয়ার কথা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইসরাত জাহান বিথীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারি দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। শনিবার স্বামীর অনুপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পোস্ট মটের্মের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে আরো অনেক কিছুই সঠিক তথ্য মিলবে।