বঙ্গবন্ধু পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড়

আনোয়ারুল হক:

ঈদ আনন্দে চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডের তিন নদীর মোহনায় বঙ্গবন্ধু পার্কে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা। চাঁদপুরসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে সময় কাটান। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আগমনে পার্কটি পরিণত হয়েছে এক মিলনমেলায়।

রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে মোলহেড এলাকা। এছাড়াও চাঁদপুরের পদ্মা, মেঘনা ও ডাকতিয়া বুকে স্পিডবোট ও লাল কাপড়ের ছাউনি লাগানো বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলতে দেখা গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্পিডবোটে কেউ কেউ ছুটে চলছেন। কেউ নৌকায় বন্ধুদের নিয়ে ভাসছেন নদীতে। কেউ ব্যস্ত মোবাইল ফোনে সেলফি আর ভিডিও ধারণে। পরিবার ও স্বজনরা শিশুদের নিয়ে রেলগাড়ি এবং চরকি ঘোড়া চড়ে তারা আনন্দে মেতে উঠেছে। তাছাড়াও জাফরাণি তান্দুরি চা, চা-কপি চক্র করছেন। মেয়েরা চুড়ি, সাজুগুজুর হরেক রকমের উপকরণ ক্রয় করছেন।

অন্যদিকে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে মিনি কক্সবাজারে ট্রলার বা স্পিডবোট নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় অনেককে।

মোস্তাকিম নামের এক পর্যটক জানান, দেশের যে সকল দর্শনীয় স্থান আছে তার মধ্যে চাঁদপুরের ত্রি-মোহনা অনেক সুন্দর একটি পরিবেশ। দীর্ঘদিন ব্যস্ততা থাকার কারণে ভালো করে সময়টা কাটাতে পারিনি। যার কারণে এ স্থানে এসেছি। যাতে সুন্দর করে সময়টাকে উপভোগ করতে পারি। এখানকার পরিবেশটা খুবই সুন্দর। এখান থেকে সূর্যস্তটা উপভোগ করতে পারব। আমি মিনি কক্সবাজারে গিয়েছিলাম। সমুদ্র সৈকতের কক্সবাজারে যেরকম দৃশ্য আছে তার চেয়ে মিনি কক্সবাজার কম নয়। এখানেও অনেক সুন্দর পরিবেশ আছে। এখানকার পরিবেশ সত্যিকারের মনোমুগ্ধকর।

কুমিল্লার লাকসার থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী মেহেদী হাসান জানান, আমরা বন্ধুরা মিলে চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনায় ঘুরতে আসলাম। এখানে দেখারমতো অনেক কিছু আছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসার মতো একটা পরিবেশ আছে। এখানে ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে আসা যায়।

জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক গৃহবধূ বলেন, আমরা বাচ্চাদের নিয়ে এখানে মিনি কক্সবাজারে আসছি আনন্দ করার জন্য। আসলেই নদীর হাওয়ায় মনটা জুড়িয়ে যায়। অনেক আনন্দ পাচ্ছি বাচ্চারাও বেশ আনন্দ পাচ্ছে। এখানে এসে নৌকায় ঘুরেছি, বাচ্চারা নাগরদোলায় উঠেছে, ফুচকা খেয়েছি। অনেক আনন্দ লেগেছে।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। ঈদ ঘিরে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত মোবাইল টিম রয়েছে। এতে মানুষ নির্বিঘ্নে শহরে যাতায়াত ও ঘোরাফেরা করতে পারছে।

Loading

শেয়ার করুন: