বিনামূল্যে সহস্রাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান

মতলব উত্তর ব্যুরো:

অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে নিশ্চিন্তপুর আমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিন্তপুর গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। ক্যাম্পে ১১৫ জন গুনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবা দিয়েছেন এবং প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ গ্রহণ করেন।
বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আয়োজন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও আমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. শামীম আহমেদ।
উদ্বোধন করেন নিশ্চিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন, নিশ্চিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো. মোজাফফর হোসেন।
আমির হোসেন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি শাহিন কাদির জমাদারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আজকের পত্রিকার মহাব্যবস্থাপক এবিএম জাকারিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এস এম আলী আহাম্মদ, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. সাইফুল ইসলাম সোহেল, অমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মিয়াজী মাসুদ রানা। পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত মাওলানা মোঃ শাহআলম।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা হাজেরা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। শহরে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। এই ধরনের মেডিকেল ক্যাম্প আমাদের মতো অসহায় মানুষের খুব উপকারে আসে। আগামী দিনগুলোতেও যেন এমন চিকিৎসা সেবার আয়োজন করা হয়।
নিশ্চিন্তপুর কেেজর প্রভাষক আল-আমিন পারভেজ বলেন, গ্রামের অবহেলিত মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়ার এই মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্পের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা একান্ত জরুরি।

গ্রামের অসহায় মানুষের মধ্যে ঔষধ বিতরণের জন্য বিশিষ্ট ডাক্তার, সমাজের বিত্তবান মানুষদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজক এবং ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও আমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, এভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে পারলে এলাকার অনেক মানুষ উপকৃত হবে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিটত করতে আমার বাবার নামে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মেডিকেল ক্যাম্পে পাঠাগারের ৩০ জন ভলান্টিয়ার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোগীদের সিরিয়াল ঠিক রাখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সহযোগিতায় নিয়োজিত ছিলেন।

Loading

শেয়ার করুন: