মতলব উত্তরে ইউসিবি ব্যাংকের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ

মতলব উত্তর প্রতিনিধি

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রোপনের জন্য মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা বিতরণ করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়য়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আরিফ উল্যাহ সরকার।

মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকার বলেন, পরিবেশ সুন্দর রাখতে হলে গাছের বিকল্প নেই বলে মনে করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন। বৈশ্বিক জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে হুমকির মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর এই দেশে এখন আর ঋতুবৈচিত্র্য চোখে পড়ে না। আমাদের দেশে যে পরিমাণ গাছ থাকার কথা তা নেই, ফলে ঘনঘন প্রচণ্ড দাবদাহ, অনাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। আমরা নিজেরা গাছ লাগাবো ও অন্যকেও গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করবো। গাছের যত্ন করবো।
এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার দুইশ তাল, আম, কাঁঠাল, কৃষ্ণচূড়া, মেহেগনী ও অর্জুন গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে সারাদেশে ৫০টি উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই গাছ বিতরণ করা হচ্ছে। উদ্যোক্তরা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এ বছর সারাদেশে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিভিন্ন ধরণের বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ছেংগারচর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ ইয়াসিন, ইউসিবি ব্যাংকের চাঁদপুর শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সাল হোসাইন, জৈষ্ঠ্য নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ সেলিমুজ্জামান, ছেংগারচর পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ হারিছ খান, মোঃ শাহজালাল মুফতী, যুবলীগ নেতা মিল্টন সরকার।
অনুষ্ঠান শেষে মতলব উত্তরর ছেংগারচর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আম গাছের চারা রোপণ করেন মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকার। শিকিরচর বেড়ি বাঁধে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেন অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ইউসিবি ব্যাংকের উদ্যোগে সারাদেশে ৫০টি নির্বাচিত উপজেলাকে মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চর, হাওর, উপকূল, সীমান্তবর্তী এলাকাসহ তুলনামূলকভাবে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা এসব মডেল উপজেলায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এক হাজার করে সারাদেশে অন্তত ৫০ হাজার তাল বা স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে অন্যান্য গাছ রোপণ করা হবে।

একইসঙ্গে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বজ্রপাত নিরোধক ডিভাইস স্থাপন, কৃষি উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করে ক্লাইমেট স্মার্ট/কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও যন্ত্রের ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান কৃষকদের মাঝে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী (নিরাপত্তা চশমা কীটনাশক প্রতিরোধী পোশাক ইত্যাদি) বিতরণ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, জৈব পদ্ধতির প্রয়োগে সহায়তা প্রদানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

পাশাপাশি দেশের ৬৪ জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ-সংশ্লিষ্ট ২৫ জন করে কৃষি উদ্যোক্তাকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

Loading

শেয়ার করুন: