মরার উপর খাড়ার ঘা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

১০ চাকার বালুবাহী দ্রুতগতির ট্রাকের আঘাতে চূর্নবিচূর্ন হয়ে গেছে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স। এ ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে এ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের ৯ জন নারী শিশু আর পুরুষ আত্বীয়- স্বজন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে হাজীগঞ্জ কচুয়া গৌরিপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ গ্রামের সর্দার বাড়ির সামনে। মৃত আমিন মিয়া(৬০)কে নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি রাজধানীর শনির আখড়া থেকে লক্ষীপুরের রামগঞ্জের সোনাইমুড়িতে যাচ্ছিল। হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বালুবাহী ট্রাক ও এ্যম্বুলেন্সটিকে জব্দ করেছে।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় থাই ব্যাবসায়ী আল আমিন জানান, ঢাকা মেট্টো ৭১-২৪৮৭ এ্যাম্বুলেন্সটি তার সাইড ধরে ধীরে ঘটনাস্থল অতিক্রম করা কালে হাজীগঞ্জ থেকে কচুয়ামুখী বালীবাহী ১০ চাকার ঢাকা মেট্টো ট ১১- ৭০৩৬ ট্রাকটি দ্রুতবেগে উক্ত স্থান অতিক্রম করাকালে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি সজোরে ধাক্কা দিলে আমার একটি বিকট শব্দ পাই। এ সময় আমরা এ্যাম্বূলেন্সে থাকা নারী শিশুদের চিৎকারে দৌড়ে গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করি।

দুর্ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী হাসান জানান, বালুবাহী ট্রাকটি ওভার লোড আর দ্রুতবেগে চলছিলো। এ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ডাকচিৎকার দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সিকি কিলোমিটার দুরে গিযে আটকে দেয়। তবে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সেটিআর দুই হাত নিচে গেলে পাশের ডোবায় তলিয়ে যেতো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সোনাইমুড়ির বাসিন্ধা আমিন মিয়া(৬০) রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় নিজ বাসায় মারা যান। আমিন মিয়ার লাশ নিয়ে এদিন সকালে দেশের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশের সহায়তায় অপর একটি এ্যাম্বুলেন্স ডেকে এনে লাশটিসহ নিহতের অন্য সদস্যদেরতে তুলে দেয়া হয়।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্সটিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Loading

শেয়ার করুন: