শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম শুরু

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বাছাই করতে আজ শুক্রবার সকালে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রথম বিভাগ ক্রিকেটার সাদ্দাম হোসেন মিঠুর পৃষ্ঠপোষকতায় শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির আয়োজনে উপজেলার সূচিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই আয়োজন করা হয়। ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সূচিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিব উল্যাহ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন।

এ সময় অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বয়সভিত্তিক দলের হেড কোচ মো. শামীম আখতার ফারুকী, সংগঠক ও ইন্দিরা রোড ক্রিকেট একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজিদ, বাংলাদেশ জাতীয় বধির ক্রিকেট দল ও ঢাকা মেরিনার্স ইয়াং ক্লাবের হেড কোচ আনিসুল ইসলাম ভূঁইয়া নিপু, শেখ কামাল স্পোর্টস একাডেমির হেড কোচ মোশারফ বাবু প্রমুখ।

শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক মো. সাদ্দাম হোসেন মিঠু বলেন, ‘এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গেলে ভালো মানের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন হয়। ভালো মানের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি ইনশা আল্লাহ এসব ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের কিছু ভালো মানের খেলোয়াড় বের করে আনতে পারব। সবাই এগিয়ে এলে এসব প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমি শাহরাস্তিতে থেকেও বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব। যারা ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়েও খেলতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘সাদ্দাম হোসেন মিঠুর প্রচেষ্টায় এই খেলোয়াড় অন্বেষণ কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে বলে আমার বিশ্বাস। একক উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচির জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

প্রসঙ্গত, ১০ থেকে ২১ বছর বয়সী প্রায় পাঁচ শ ক্রিকেটার রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে। চাঁদপুরের তিনটি উপজেলা থেকে ৪০ জনকে বাছাই করা হবে। উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বয়সভিত্তিক দল এবং ঢাকার বিভিন্ন লিগে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া যারা বিকেএসপিতে ভর্তি হতে আগ্রহী, যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট একাডেমি চালু হবে যাতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং ভালো মানের কোচ ও ট্রেইনার থাকবে।

Loading

শেয়ার করুন: