স্থায়ী বাঁধ হয়ে গেলে ইনশাল্লাহ আমাদের শহরটি রক্ষা পাবে:মেয়র জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন চাঁদপুর-৩ হাইমচর ও সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। এ কারণে ঘূর্ণিঝড় রেমালে তাঁর নির্বাচনী এলাকার ক্ষয় ক্ষতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার জন্যে আসতে পারেননি। তবে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল ও চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারীসহ অন্যদের সাথে কথা বলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এলাকাবাসীর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন মন্ত্রী। সেই সুবাদে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ঘূর্ণিঝড়ের সময় সরজমিনে শহররক্ষা বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখেছেন এবং অসহায় মানুষের সাথে কথা বলেছেন। এবার পুনরায় চাঁদপুর শহরের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছেন জিল্লুর রহমান জুয়েল।

১ জুন শনিবার বিকেলে মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির অনুপস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত মেঘনা নদীর তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পুরাণবাজার হরিসভা, পুরাতন ফায়ার সার্ভিস, বাকালীপট্টি এলাকা প্রত্যক্ষ করেন তিনি।

এ সময় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে একে একে নদীর পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত শহর রক্ষাবাঁধ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে ওই দিনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় কথা বলেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল ভূঁইয়া, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঃ মালেক শেখ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ পাটওয়ারী, মোশারফ হোসেন মানিক মাঝি, মোঃ ফজলু মিজি, কামাল হাওলাদার, জাহাঙ্গীর খন্দকার, ভুট্টো হাওলাদার, জেলা জাতীয় পার্টির নেতা ইব্রাহিম দেওয়ান স্বপন, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম হাওলাদার, মোঃ ফারুক, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ময়না বেগম, রৌশন আরাসহ দলীয় অন্যান্য নেতা-কর্মীবৃন্দ।

এছাড়াও মেয়রের সফর সঙ্গী হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, এইচএম আহসান উল্লাহ, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যগণসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, আল্লাহ আমাদের বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি থেকে বাঁচিয়েছে। গত সোমবারে চাঁদপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস ও বড় বড় ঢেউ শহরবাসী আগে কখনো এই ধরনের পরিস্থিতি দেখেননি। আল্লাহপাক আমাদেরকে রক্ষা করেছেন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের নেত্রী আমাদের স্থানীয় সংসদ ডাঃ দীপু মনি আছেন। আমরা ক্ষয় ক্ষতি অবলোকন করছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার করার জন্যে তালিকা প্রস্তুত করছি।

মেয়র বলেন, স্থায়ী বাঁধ হয়ে গেলে ইনশাল্লাহ আমাদের শহরটি রক্ষা পাবে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে এবং আমাদের সংসদ ডাঃ দীপু মনির কাছে শহরবাসী কৃতজ্ঞ। ৮২৭ কোটি টাকা চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য বরাদ্দ করেছেন। স্থায়ীবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে, বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সেই কাজ শেষ হলে আমরা চাঁদপুর শহরবাসী স্থায়ী বাঁধ পাবে। এজন্যে সবার সহযোগিতা, মতামত ও পর্যবেক্ষণ কামনা করছি। মেয়র জিল্লুর আরো বলেন, আমাদের স্থানীয় সংসদ সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির কড়া নির্দেশ কাজের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো আপোষ নেই। যে কোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রেমালে চাঁদপুরে কোনো প্রাণহানি না হলেও শহর রক্ষাবাঁধসহ নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক স্থাপনাসহ মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বহু গাছপালা রাস্তার উপর ভেঙ্গে পড়েছে। ঘরের চালা উড়ে গেছে।

Loading

শেয়ার করুন: