স্মার্টফোনে নকল সরবরাহ, অধ্যক্ষের দুই বছরের কারাদণ্ড

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় চলমান দাখিল পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে মো. ছায়েদুল ইসলাম (৫৩) নামে এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (৩ মার্চ ) শাহরাস্তি পৌর এলাকায় অবস্থিত শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত ।

মো. ছায়েদুল ইসলাম উপজেলার রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ভদ্রগাছা গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সূত্রে জানা যায়, শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনও সরকারি গাড়ি দূরে রেখে হেঁটে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থানরত অফিস সহকারী, আয়া এবং কিছু শিক্ষক ছোটাছুটি শুরু করেন। ইউএনও কেন্দ্রে অনিয়ম এবং নকলের বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করেন। পরে শ্রেণিকক্ষের বাইরে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের বাউন্ডারি সীমানার মধ্যে অসংখ্য হাতে লিখে সমাধান করা প্রশ্নের উত্তর/নকল পাওয়া যায়। এ সময় ছায়েদুল ইসলামের স্মার্টফোনের হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্নপত্রের সমাধান পাওয়া যায়। মূলত সেই উত্তর তিনি প্রিন্ট করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত  বলেন, স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাইরে থেকে সমাধান এনে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান হয়েছে। একই সঙ্গে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Loading

শেয়ার করুন: