হাজীগঞ্জে ফসলি মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

মোশারফ হোসেন:

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের পিপিয়া গ্রামের ফসলি মাঠ থেকে মতলবের ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

৭মার্চ মঙ্গলবার সকালে রাস্তার পাশে ফসলি জমির পাশে যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জোবাইর সৈয়দ এর নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

নিহদ যুবক আক্তার হোসেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাধি দক্ষিণ ইউনিয়নের ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামের আকবর মিজি বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে। ৪ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় আকতার হোসেন পেশায় একজন দিনমজুর।

স্থানীয়রা জানান, আক্তার হোসেন গত ৭ মাস পূর্বে হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব রাজারগাঁও গ্রামের পঞ্চায়েত বাড়ির হাসানের মেয়ে আকলিমা আক্তারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে স্বামী আক্তার হোসেনের সাথে স্ত্রী আকলিমা আক্তারের সাংসারিক জীবনে কলহ চলে আসছে। বিভিন্ন সময় স্ত্রী আকলিমা আক্তার কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হন আকতার হোসেন। গত ১ মাস পূর্বে স্ত্রী আকলিমা আক্তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাপের বাড়িতে অবস্থান নেয়।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে রাস্তার পাশে ফসলি মাঠে গিয়ে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে লোকজন এসে পুলিশ খবর দেয়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং অন্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মহিলাদের পায়ের জুতা, দুটি শক্ত লাঠি, একটি প্লাস্টিকের মগ এবং রশি উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত আক্তার হোসেনের স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।

নিহত আকতার হোসেনের বড়বোন শামছুন্নাহার সাংবাদিকদের কাছে বলেন, সোমবার বিকেলে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যায় তার মামা রাজারগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী মনসুর আহম্মেদ এর সাথে তার দেখা হয়। এসময় মামা মনসুর তাকে রাজারগাঁও বাজার থেকে দ্রুত বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বলে। মামার কথা না শুনে আক্তার শ^শুর বাড়িতে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে যায়।

আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তার স্ত্রী রাগের বশত ভেঙ্গে ফেলার কারণে ঘটনার দিন তার সাথে কোন মোবাইল ফোন ছিল না। সকালে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে মাথার পেছনে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের একটি দল আকতার হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জোবাইর সৈয়দ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় হেফাজতে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে অপরাধী নিশ্চিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Loading

শেয়ার করুন: