হারানো ইজিবাইক উদ্ধার হয়নি, চালককে এক লাখ টাকা দিলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চাঁদপুর পৌর শহরের গুনরাজদি এলাকার ইজিবাইকচালক প্রতিবন্ধী মনির হোসেনকে (৫০) এক লাখ টাকা সহযোগিতা করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের মাধ্যমে মনির হোসেনের হাতে টাকা হস্তান্তর করেন চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ওয়ালি উল্যাহ।

এর আগে গত ২৪ মার্চ রাতে যাত্রী সেজে মনির হোসেনকে বঙ্গবন্ধু সড়কে নিয়ে তার শরীরে গুল মেরে ইজিবাইকটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। এরপর মনির হোসেন চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ইজিবাইকটি খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়।

ইজিবাইক হারিয়ে খুবই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ের মনির হোসেন। তার এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে প্রতিবন্ধী মনির হোসেনের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ ও অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ওয়ালি উল্যাহ।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, প্রতিবন্ধী মনির হোসেন যাতে তার নতুন ইজিবাইক নিয়ে চাঁদপুর পৌর এলাকায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ও অফিসার ইনচার্জকে (তদন্ত) ধন্যবাদ জানাই এ অসহায় লোকটির পাশে এগিয়ে আসার জন্য।

প্রতিবন্ধী মনির জানান, প্রথম রমজানে যাত্রী সেজে বঙ্গবন্ধু সড়কে নিয়ে তার শরীরে গুল মেরে ইজিবাইকটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। ইজিবাইকটি চুরি হওয়ার পর আমি খুবই হতাশার মধ্যে ছিলাম। সংসার চালাতে পারছিলাম না। ইজিবাইকটি আমার একমাত্র আয়ের পথ ছিল। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের এ দুই স্যার আমাকে নতুন অটো কেনার জন্য এক লাখ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন। এটা আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, মনির একজন অসহায় গরিব ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও সে কাজ করে খায়। বিষয়টি আমাদের খুব ভালো লেগেছে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র তার গাড়িটি নিয়ে যায়। গাড়িটি চুরি হওয়ার কারণে রোজার মাসে আর্থিক সংকটে ভুগেছে সে। ঈদও করতে পারেনি। ঈদের সময় তাকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাকে এই টাকা দিতে পেরে আমাদের ভালো লাগছে। সে এই টাকা দিয়ে কিছু করতে পারবে।

Loading

শেয়ার করুন: